মালয়েশিয়ায় প্রবল বর্ষণের ফলে সৃষ্ট বন্যায় মৃত্যুর সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। এই বন্যায় অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং বাস্তুচ্যুত হয়েছে কয়েক হাজার মানুষ। বিগত কয়েক দশকের মধ্যে এটিকে শক্তিশালী বন্যা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে দেশটি।
বিবিসি জানিয়েছে, বন্যায় এখন পর্যন্ত তলিয়ে গেছে ৮টি প্রদেশ, এছাড়া পানি ঢুকে পড়েছে কয়েকটি গ্রাম ও শহরেও। বন্যা পরিস্থিতিতে দেরিতে সাড়া দেয়ায় সরকারের কড়া সমালোচনা করছে দেশটির জনগণ। তাদের মতে, সরকার যে সাহায্য দিচ্ছে তা খুবই অপ্রতুল। এছাড়া বেশ ধীরগতিতে উদ্ধার কার্য চালাচ্ছে সরকার।
বন্যা সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি পাহাং প্রদেশের। শুধুমাত্র সেখানেই ১৪ হাজার মানুষকে নিজেদের ঘরবাড়ি ছাড়তে হয়েছে। রাজধানী কুয়ালালামপুর সংলগ্ন সেলাঙ্গরের পরিস্থিতিও শোচনীয়। সেখানে প্রায় ১০ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সোমবার পর্যন্ত প্রায় ৫১ হাজার মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে বন্যাকবলিত এলাকাগুলো থেকে।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, সারাদেশসহ সেলাঙ্গরের এমন বন্যা পরিস্থিতি দেখে তিনি বিস্মিত।
সরকারি কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, আশ্রয়কেন্দ্রে হাজার হাজার মানুষ একসাথে বসবাস করছে, ফলে বন্যা পরবর্তীতে দেশটিতে করোনা প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পেতে পারে।