গত রাউন্ডে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৯ উইকেট নিয়েছিলেন, সঙ্গে সেঞ্চুরি। তৃতীয় রাউন্ডে প্রথম ইনিংসে স্পিনে ৩ উইকেট তুলেছেন মেহেদী হাসান। সেন্ট্রালকে অলআউট করতে যদিও সময় লেগেছে তার দল সাউথের, ১১৬ রানের দারুণ এক সেঞ্চুরিতে মার্শাল আইয়ুব যে লড়েছেন বেশ।
বিসিএলের তৃতীয় রাউন্ডে শুক্রবার কক্সবাজারে মুখোমুখি হয়েছে সেন্ট্রাল জোন ও সাউথ জোন। প্রথম ইনিংসে ২৩৫ রানে অলআউট হয়ে গেছে সেন্ট্রালরা। জবাব দিতে নেমে স্বস্তিতে নেই সাউথরাও, ২৯ রান তুলতেই ২ উইকেট হারিয়ে বসেছে তারা।
শাহরিয়ার নাফিস ১০ ও ইরফান শুক্কুর ৩ রানে ফিরে গেছেন। দ্বিতীয় রাউন্ডে জোড়া সেঞ্চুরি হাঁকানো এনামুল হক বিজয় ১৩ এবং শামসুর রহমান ৩ রানে শনিবার সাউথের সংগ্রহ এগিয়ে নিতে নামবেন।
এর আগে সাউথের বোলাররা নিয়মিত বিরতিতে সেন্ট্রালের উইকেট তুলেছে। তারপরও দলটির রান দুইশ পেরিয়ে গেছে মার্শালের সেঞ্চুরি, আর শেষদিকে মোস্তাফিজুর রহমানের অপরাজিত ৩০ রানে।
ফিজ ১ চার ও ৪ ছক্কায় ২৬ বলে ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন। যার তিনটিই মেরেছেন অভিজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনার আব্দুর রাজ্জাককে, পরপর দুটিসহ এক ওভারেই। মোস্তাফিজের ব্যাটে বাকি ছয়টি এসেছে স্পিন-অলরাউন্ডার মেহেদীর বলে। মার্শাল ১১৬ করে ফেরেন, ১২ চার ২ ছয়ে ১৮৬ রানের ইনিংস সাজিয়ে।
বাকিদের মধ্যে সাইফ হাসান ব্যর্থতা জারি রেখেছেন। পাকিস্তানে টেস্টে অভিষিক্ত হয়ে দুই ইনিংসেই ছিলেন বিবর্ণ, ফিরে মাঠে নেমে করলেন ১ রান। নাজমুল হোসেন শান্ত পাকিস্তানে দুই ইনিংসেই লড়েছেন, এদিন ঘরোয়ায় ফিরে করেছেন ৮ রান।
আব্দুল মজিদ ১৪, রাকিবুল হাসান ১১, শুভাগত হোম ১৪, আর চোট কাটিয়ে ফেরা মেহেদী হাসান মিরাজ রানের খাতাই খুলতে পারেননি।
মেহেদী ৩ উইকেট নিয়েছেন। ২ উইকেট করে নিয়েছেন সেন্ট্রালের তিনজন, শফিউল-রাজ্জাক ও নাসুম।