চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

মার্ক জাকারবার্গের বিরুদ্ধে ফেসবুকে ‘বিপজ্জনক নজির’ তৈরির অভিযোগ

কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডের হত্যার ঘটনায় আন্দোলরতদের হুশিয়ারি করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট যে পোস্ট করেছিলেন তা ফেসবুকে প্রকাশ করে ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ ‘বিপজ্জনক নজির’ তৈরি করছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির  নাগরিক অধিকার কর্মীদের একটি দল।

ফেসবুক সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী জাকারবার্গের সঙ্গে এক ভিডিও বৈঠক শেষে বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছেন তারা।

মার্কিন পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ মার্কিন নাগরিক জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর প্রতিবাদে জ্বলে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিদিনই নতুন নতুন শহরে ছড়িয়ে পড়ছে বিক্ষোভ। মিনিয়াপোলিস, নিউ ইয়র্ক, শিকাগো, আটলান্টা, মায়ামি, পোর্টল্যান্ড, সান ফ্রান্সিস্কোর মতো প্রায় ১৩টি শহরে জারি হয়েছে কার্ফু। ফ্লয়েডের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করলেও এই বিক্ষোভ মেনে নিতে পারছেন না প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

চলমান ওই প্রতিবাদ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হুশিয়ারি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দেয়। পোস্টটি টুইটার এরই মধ্যে সহিংসতা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় ‘আড়াল’ করে দিয়েছে।

প্রশ্নবিদ্ধ ওই পোস্টে ট্রাম্প লিখেছিলেন “ন্যাশনাল গার্ড পাঠানো হবে” এবং সতর্ক করেন “যখন লুট শুরু হবে, তখন গুলি শুরু হবে”।

টুইটার পোস্টটির ব্যাপারে পদক্ষেপ নিলেও জাকারবার্গ পোস্টটিকে ফেইসবুকে বহাল তবিয়তে রাখার সিদ্ধান্ত জানান। এ প্রসঙ্গে ট্রাম্পের বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করছেন জানিয়ে তিনি বলেছেন, মানুষের “উচিত এটি নিজেদের বিবেচনা করা”।

ফেসবুক কর্মীরা এরই মধ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাকারবার্গের বিরুদ্ধে, অনেকে পালন করেছেন “ভার্চুয়াল ওয়াকআউট”।

জাকারবার্গের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিন নাগরিক অধিকার নেতা মন্তব্য করেন জাকারবার্গ ভুল করছেন।

“ট্রাম্পের পোস্ট রাখার পক্ষে মার্ক যে ধারণাতীত ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা নিয়ে আমরা হতাশ এবং বিস্মিত”।

“ফেসবুকে একই ধরনের ক্ষতিকর ব্যাপার বলতে পারে এমন ব্যক্তিদের জন্য মার্ক খুব বিপজ্জনক নজির তৈরি করছেন।”

যৌথ বিবৃতিটি সোমবার রাতে প্রকাশ করেছেন তারা। এতে স্বাক্ষর করেছেন ‘লিডারশিপ কনফারেন্স অন সিভিল অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস’-এর প্রেসিডেন্ট ভানিতা গুপ্তা, এনএএসিপি লিগ্যাল ডিফেন্স অ্যান্ড এডুকেশনাল ফান্ডের পরিচালক-পরামর্শক শেরিলিন আইফল, কালার অফ চেঞ্জ প্রেসিডেন্ট রাশাদ রবিনসন। বিবৃতিটি প্রকাশ করেছে অ্যাক্সিওস।

ট্রাম্পের পোস্ট ফেসবুকে রাখার কারণে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে অংশীদারি চুক্তি আলোচনা থেকে পিছিয়ে এসেছে অনলাইন থেরাপি সংস্থা টকস্পেস। “আমরা এমন কোনো প্ল্যাটফর্মকে সমর্থন দেব না যেটি সহিংসতা, বর্ণবৈষম্য এবং মিথ্যাকে উৎসাহিত করে”। – বলেছেন প্রধান নির্বাহী ওরেন ফ্র্যাংক।

চুক্তিটি “লাখ লাখ ডলার” মূল্যমানের হতো বলে সিএনবিসি-কে জানিয়েছেন ফ্র্যাংক।