চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

মার্কিন নির্বাচনে কানাডার জনগণ ও অর্থনীতির উপর প্রভাব

ট্রাম্প বা জো বাইডেন যেই জয়ী হোক না কেন কানাডার অর্থনীতি ও জীবন যাত্রার উপরে পড়বে ব্যাপক প্রভাব।

কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র দুটি দেশের অর্থনীতি সম্পূরক ও একে অপরের উপর নির্ভরশীল । যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই কানাডার মানুষের আগ্রহ বেড়ে যাচ্ছে।

কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের দুটি দেশের মধ্যে প্রতিদিন প্রায় ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের উপরে পণ্য আমদানি রপ্তানি হয়।

স্থানীয় গণমাধ্যম সি বি সি’র সাম্প্রতিক সংবাদ পর্যালোচনায় দুটি দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি বিষয় উঠে আসে এরমধ্যে এনার্জি , প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য, ইমিগ্রেশন ও চায়নার সঙ্গে সম্পর্ক।

অন্যদিকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, মার্কিন নির্বাচনে বর্তমান প্রশাসন পুননির্বাচিত হোক অথবা নতুন যেই সরকারই ক্ষমতায় আসুক তাদের সাথে কানাডা সব ধরণের সম্পর্ক অব্যাহত রাখবে।

ভিডিও কনফারেন্সে ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ দুই নেতার সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। এসময় তিনি বলেন, আসন্ন মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করবে কানাডা।

প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ইতিমধ্যে যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক সেটিকে আরো গভীর করার জন্য চেষ্টা করবো। আমরা সবসময় কানাডার স্বার্থকে প্রাধান্য দিবো। আমরা আরো সহযোগিতা ও বৃহৎ বাণিজ্যের সুযোগ সৃষ্টি করব।

আসন্ন মার্কিন নির্বাচন নিয়ে কানাডিয়ান অভিবাসীদের ধারণা ট্রাম্প নির্বাচিত হলে দেশটিতে আর অভিবাসীদের থাকবে না। এটি হয়ে পড়বে শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যের দেশ।

তিনি যেভাবে বর্ণবাদী ও ঘৃণার কথা বলেন সাধারণত তৃতীয় বিশ্বের সাধারণ মানুষ করে থাকে।ট্রাম্পের অভিবাসী নীতির কারণেও বাংলাদেশি, ভারতীয়সহ অধিকাংশ অভিবাসীরা তাকে ভোট প্রদান থেকে বিরত থাকবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।