মার্কিন কংগ্রেসের হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের বর্তমান দুই পুরুষ আইনপ্রণেতার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি এবং অসদাচরণের অভিযোগ তুলেছেন হাউজের দুই নারী প্রতিনিধি। এমনকি নিপীড়নকারীদের একজন কার্যালয়ের এক নারী কর্মীর সামনে যৌনাঙ্গ প্রদর্শন করেছেন বলেও দাবি করেন তারা।
অভিযোগকারী ক্যালিফোর্নিয়ার ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি জ্যাকি স্পেইয়ার বা ভার্জিনিয়ার রিপাবলিকান প্রতিনিধি বারবারা কমস্টক, কেউই মঙ্গলবার হাউজ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কমিটির শুনানিতে অভিযুক্ত কংগ্রেসম্যানদের নাম প্রকাশ করেননি। তবে এ অভিযোগের কথা ছড়িয়ে পড়েছে পুরো ক্যাপিটল হিল জুড়ে। সেখানকার বর্তমান ও প্রাক্তন সবাই-ই যৌন হয়রানির ব্যাপ্তি অনেক বেড়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন।
স্পেইয়ার এর আগে ক্যাপিটল হিলে সহকারী হিসেবে কর্মরত অবস্থায় যৌন হয়রানির শিকার হওয়ার কথা জনসম্মুখে প্রকাশ করেছিলেন। এবার তিনি কংগ্রেসেই শুনানির জন্য গঠিত প্যানেলের সামনে সাক্ষ্য দেন, কংগ্রেসের একজন ডেমোক্র্যাট ও একজন রিপাবলিকান বর্তমান পুরুষ সদস্য যৌন নিপীড়নের অপরাধ করেছেন, কিন্তু তাদের বিষয়টি এখনো খতিয়ে দেখা হয়নি।
তিনি বলেন: অভিযুক্তরা ‘নারী সহকর্মীদের দেহের বিভিন্ন গোপন স্থানে আপত্তিকরভাবে হাত রেখেছেন এবং চেপে ধরেছেন’ বলেও তিনি ভুক্তভোগীদের কাছে শুনেছেন।
নতুন একটি নীতিমালা প্রস্তাব করেন স্পেইয়ার, যা গৃহীত হলে হাউজের প্রত্যেক সদস্যের জন্য যৌন হয়রানি প্রতিহত করার প্রশিক্ষণ নেয়া বাধ্যতামূলক করা হবে।
কমস্টকও এমন বেশ কিছু ঘটনার বর্ণনা দেন, এবং এমন এক ভুক্তভোগীর কথাও জানান, যাকে এক কংগ্রেসম্যান যৌনাঙ্গ দেখতে বাধ্য করার পর তিনি চাকরি ছেড়ে দেন। অথচ সেই পুরুষ প্রতিনিধি এখনো বহাল তবিয়তে নিজের পদে আছেন।
সম্প্রতি দফায় দফায় কংগ্রেসের বহু পুরুষ সদস্যের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এবং দেড় হাজারেরও বেশি সাবেক হিল কর্মীর সই করা অভিযোগপত্র এবং কংগ্রেসের যৌন হয়রানি বিষয়ক নীতিমালা সংস্কারের আবেদনপত্রের পরিপ্রেক্ষিতে এই শুনানির আয়োজন করা হয়।
শুনানি শেষে হাউজ স্পিকার পল রায়ান এক বিবৃতিতে বলেন: এ ব্যাপারে কংগ্রেস অবশ্যই সামনে এগিয়ে যাবে এবং নতুন একটি নীতিমালা গ্রহণ করবে, যেখানে সব সদস্য ও কর্মীর জন্য হয়রানি এবং বৈষম্যবিরোধী প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করা হবে।