মার্কিন ইলেকটোরাল কলেজে জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশী নাজদা আলম। শুধু ইলেকটোরাল কলেজের সদস্যই না, নাজদা ডেমোক্রেটিক স্টেট কমিটি ও মুসলিমদের অধিকার আদায়ের বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গেও তিনি জড়িত। এক প্রতিবেদনে নাজদা আলমের সাফল্যের চিত্র তুলে ধরেছে মার্কিন দৈনিক বোস্টন গ্লোব।
ছোট থেকেই মৌলিক মানবাধিকারে বিশ্বাসী একটা পরিবারে বেড়ে ওঠা নাজদা নিজের রুমে টাঙ্গিয়ে রাখতেন মহাত্মা গান্ধী, জন এফ কেনেডি ও মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের ছবি।
১৯৮২ সালে অভিবাসনের পর গণতান্ত্রিক আদর্শের এই নারী বসবাস করেন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসের ওয়েসটনে। একজন ইলেকটোরাল কলেজের সদস্য হিসেবে সর্বশেষ ভোট দিয়েছেন ২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনে।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মাস্টার ডিগ্রীধারী নাজদা একজন সমাজসেবক, শিশু ও নিজ সম্প্রদায়ের লোকজনকে নিরাপদ রাখার ইচ্ছা দ্বারা অনুপ্রাণিত।
২০০৮ সাল থেকে ডেমোক্রেটিক রাজ্য কমিটির সদস্য, ম্যাসাচুসেটস মুসলিম ভোটার নিবন্ধন প্রকল্পের সভাপতি নাজদা। তার বাবা ইব্রাহীম ছিলেন ‘মুসলিম-ইহুদি ও খ্রিস্টানদের মধ্যে পারস্পরিক সম্মান এবং বোঝাপড়ার জন্য গঠিত একটি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা।
নাজদা বলেন, ‘ আমি একজন অভিবাসী, একজন মুসলিম ও একজন নারীবাদী। যেকোনো ধরনের বিভক্তির বিরুদ্ধে জোরালোভাবে প্রতিবাদ করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
দীর্ঘ দিনের সমর্থক হলেও ২০০৮ সালের নির্বাচনে দলীয় প্রেসিডেন্টসিয়াল দৌড়ে হিলারি ক্লিনটন হেরে যাওয়ার পর বারাক ওবামার জন্য প্রচারণা চালান নাজদা। ২০১২ সালে তাকে ডেমোক্র্যাট দলীয় জাতীয় কনভেনশনের প্রতিনিধি বানানো হয়।
গত নভেম্বর পর্যন্ত নির্বাচনের দিন অভিবাসী এবং মুসলিম ভোটারদের সংগঠিত করার জন্য কাজ করেছেন। নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে হিলারির হারকে তিনি বর্ণনা করেছেন ‘পরিবারের কারোর মৃত্যুর সঙ্গে’।
ব্যক্তিগতভাবে হতাশ হলেও নাজদা বলেন, ম্যাসাচুসেটসের ১০ জন ইলেকটোরালের একজন হয়ে হিলারির জন্য ভোট দেয়াটা ছিল গর্বের। আমার নামটা এই তালিকায় সারাজীবন থাকবে। ইতিহাসের সাক্ষী হতে পেরে আমি সত্যিই গর্বিত।
১৯৮২ সালে অভিবাসনের পর ১৯৯৭ সালে স্বাভাবিক মার্কিন নাগরিকের অধিকার পান নাজদা। শুরু থেকেই ভােটারদের নাগরিক কার্যক্রমে উৎসাহিত করেন।