চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

বর্ষীয়ান অভিনেতা মনু মুখার্জী হারিয়ে শোকার্ত টলিউড

ভারতীয় বাংলা সিনেমার বর্ষীয়ান অভিনেতা মনু মুখোপাধ্যায় মারা গেছেন। রবিবার (৬ ডিসেম্বর) নিজ বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।

তার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক বছর ধরে বার্ধক্যজনিত নানান রোগে ভুগছিলেন মনু মুখোপাধ্যায়। কোমরের সমস্যা থাকায় শেষ কয়েক বছর একেবারে শয্যাশায়ী ছিলেন তিনি। সাথে ছিল হৃদযন্ত্রের সমস্যা।

বর্ষীয়ান এই অভিনেতার প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন কলকাতার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিখেছেন, ‘থিয়েটার ও ফিল্ম জগতের বর্ষীয়ান অভিনেতা মনু মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে শোকাহত। টেলি সম্মান পুরস্কারের আসরে ২০১৫ সালে আমরা তাঁকে জীবন কৃতি সম্মানে ভূষিত করেছিলাম। তাঁর পরিবার, সহকর্মী ও অনুরাগীদের প্রতি রইল আমার সমবেদনা।’

তার প্রয়াণে শোকস্তব্ধ পুরো পশ্চিম বঙ্গের বিনোদন জগত।

মৃণাল সেনের ‘নীল আকাশের নীচে’ সিনেমাতে অভিনয় করে মনু মুখোপাধ্যায় তার অভিনয়ের ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। সেই সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রে ছিলেন কালী বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিই পরিচালকের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন মনু মুখোপাধ্যায়কে। এরপর বিশ্ববিখ্যাত পরিচালক সত্যজিৎ রায়, রোন্যান্ড জোফির সঙ্গে কাজ করেছেন প্রয়াত অভিনেতা।

সত্যজিৎ রায়ের ‘জয় বাবা ফেলুনাথ’ এ ভণ্ড সাধু মছলিবাবার চরিত্রে অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান তিনি। ছোট চরিত্রে অভিনয় করলেও দর্শক মনে নিজের ছাপ রাখতে বরাবর সফল হয়েছেন তিনি। নিজের দক্ষ অভিনয় দিয়ে জনতার মনে দশকের পর দশক ধরে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি।

সত্যজিতের অশনি সংকেত, গণশত্রুর মতো সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন মনু মুখোপাধ্যায়। তবে ভারতীয় বাংলা সিনেমায় মনু মুখোপাধ্যায়ের মতো শক্তিশালী অভিনেতাকে সেভাবে ব্যবহার করেনি, এই অভিযোগ অনেকেই করে থাকেন।

দীর্ঘ সময় ক্যামিও চরিত্রে বা পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয়ের পর ২০০৩ সালে পরিচালক অভিজিত চৌধুরীর ‘পাতালঘর’ সিনেমায় গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেন মনু মুখোপাধ্যায়। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে ‘বাকিটা ব্যক্তিগত’ সিনেমায় মনু মুখোপাধ্যায়ের অভিনয় চমকে দিয়েছে দর্শকদের।