ইয়ন মরগান, ইংল্যান্ডের ওয়ানডে অধিনায়ক। আট বছর আগে টেস্টে অভিষেক হলেও সাদা পোশাকে ম্যাচ খেলেছেন মোটে ১৬টি। সর্বশেষ টেস্টটাও খেলেছেন বছর ছয়েক আগে। তবে সীমিত ওভারের পাশাপাশি নিয়মিত টি-টুয়েন্টি দলে। মূলমন্ত্র মারকাটারি ব্যাটিং হলেও মনের কোনে টান অনুভব করেন টেস্ট ক্রিকেটের। তাই লংগার ভার্সনের ক্রিকেট ঐতিহ্যকে বাঁচানোর আকুতি জানিয়েছেন ইংলিশ তারকা।
মরগান বিশ্বাস করেন টেস্ট ক্রিকেটের ভবিষ্যত নিরাপদ করার জন্য সময়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে সেইসব দেশে, যেখানে ইতিমধ্যেই খেলাটি ছোট ফরম্যাটের কাছে ‘বিক্রি’ হয়ে যাচ্ছে।
বিশ্বজুড়ে টি-টুয়েন্টির বাড়-বাড়ন্তে আবেদন হারাচ্ছে টেস্ট ক্রিকেট। খেলোয়াড়রাও ছুটছেন শর্টার ফরম্যাটের দিকে। এমনকি যেসব দেশগুলোতে টেস্ট অনেক বেশি গুরুত্ব দেয়া হয় সেখানেও।
সর্বশেষ প্রমাণ হিসাবে তুলে ধরা যায় ইংল্যান্ডের দুই ক্রিকেটার অ্যালেক্স হেলস ও আদিল রশিদের সাদা পোশাকের খেলা ছেড়ে দেয়াকে। এর মধ্যে হেলস টেস্টে নিয়মিত না হলেও রশিদ তো দলে ডাক পেয়েও ফিরে তাকাননি। বরং তিনি স্বীকার করেন নেন, তার মন আর প্রথম শ্রেণীর বা টেস্টের মত লংগার ভার্সনের খেলায় নেই।
মরগান বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে এখন বেশ চিন্তা করতে হচ্ছে। এটি নিয়ে এখনই কিছু করতে হবে। যদিও ইতিমধ্যেই কিছু করা উচিত ছিল। আমার অনুমান, এ নিয়ে চারপাশে অনেক ধারণা আছে, কিন্তু বিলাসিতার সময়ে প্রকৃতপক্ষে টেস্ট ম্যাচকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। বিশেষ করে সেসব দেশে টি-টুয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজিভিক্তিক ক্রিকেটকে অগ্রাধিকার দেয়।’
টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে মরগান আসলে সতীর্থ মঈন আলীর সুরেই সুর মেলালেন। অস্ট্রেলিয়ায় সদ্য সমাপ্ত অ্যাশেজে দর্শক উপস্থিতি অনেক কম দেখে টেস্টের ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন আলী।
মরগান এটাও জানেন বাধাটা কোথায়। শেষ পর্যন্ত টেস্ট ক্রিকেটের বেঁচে থাকা একটা বিষয়কে সামনে নিয়ে আসছে বা ভবিষ্যতে আসবে। সেটা হল অর্থ। এই সমস্যা সমাধানে টেস্টে খেলোয়াড়দের জন্য আয় বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।