নারায়ণগঞ্জের নতুন চাঞ্চল্য পাঁচ খুনের ঘটনায় নিহত তাসলিমা বেগমের স্বামী মো. শফিকুল ইসলামের ভাগ্নে মাহফুজ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইদুজ্জামান শরিফের আদালতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জবানবন্দি নেয়া হয়।
এ জবানবন্দিতে উদঘাটিত হয়েছে আলোচিত হত্যাকাণ্ডের রহস্য। হত্যার বর্ণনা, বাড়ির কার্নিশে মাহফুজের ভেজা পোশাক তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ সূত্র হিসেবে কাজ করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আসামী মাহফুজ একাই দীর্ঘ সময় নিয়ে মশলা পেষার শীলনোড়া দিয়ে একে একে তাদের হত্যা করে।
নারায়ণঞ্জের পুলিশ সুপার ড. খন্দকার মহিদউদ্দিন জানান, ভাগ্নে মাহফুজ হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। হত্যাকাণ্ডে সে একাই ছিলো বলে জানা গেছে। এখানে বাইরের আর কোনো পক্ষ জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ আপাতত নেই। এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের কারণ সামাজিকভাবে অপ্রত্যাশিত সম্পর্ক। এধরণের অপরাধ ঠেকাতে পারিবারিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়া উচিৎ বলে মনে করেন তিনি।
শনিবার ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ শহরের ২ নম্বর বাবুরাইলের একটি বাসায় ঢুকে একই পরিবারের পাঁচজনকে ভারী অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন ওই পরিবারের তাসলিমা (৩৫), তার ছেলে শান্ত (১০), মেয়ে সুমাইয়া (৫), তাসলিমার ভাই মোরশেদুল (২৫) ও জা লামিয়া (২৫)।
এ ঘটনায় পরদিন ১৭ জানুয়ারি দুপুরে নিহত তাসলিমার স্বামী শফিকুল ইসলাম নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় প্রধান সন্দেহভাজন তিনজনসহ অজ্ঞাতপরিচয় পাঁচ-ছয় আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার এজাহার অনুযায়ী, ভাগ্নে মাহফুজ শফিকুলের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী লামিয়াকে কু-প্রস্তাব
দিয়েছিলো। অনেক দিন ধরেই সে মামীকে উত্ত্যক্ত করতো। মাহফুজের কারণেই
শফিকুলরা ঢাকা থেকে বাসা বদল করে নারায়ণগঞ্জে যায়।
এরই মধ্যে মামলাটি জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।