বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন: আমাদের অনেক নেতার বিরুদ্ধে ১শ’র বেশি মামলা আছে। আমার বিরুদ্ধে ৮৬ ছাড়িয়ে গেছে। আমরা অনেক নির্যাতিত হয়েছি। অনেকবার কারাগারে গিয়েছি। মামলা এখন কোনো ব্যাপার নয়। মূল ব্যাপার হলো, আমরা আমাদের ছেলে-মেয়েদের জন্য নিরাপদ রাষ্ট্র রেখে যেতে পারবো কিনা সেটিই ভাবনার। এটি করা আমাদের কর্তব্য৷
সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে উদ্বিগ্ন নাগরিক সমাজের ব্যানারে আয়োজিত শিক্ষার্থীদের উপর নিপীড়নের প্রতিবাদ সংহতি সমাবেশ তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন: আমাদের ছেলেরা আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে। আমরা রাজনীতিহীনতার কথা, স্বৈরাচারী চেহারার কথা, অবিচারের কথা, দুর্নীতির কথা বলে এসেছি এবং একটি জাতীয় ঐক্যের কথা বলে এসেছি। ছাত্রদের আন্দোলন আমাদের জাতীয় ঐক্যের পথ খুলে দিয়েছে।
তিনি বলেন: এই সরকার নিয়ে কথা বলার আর দরকার নেই। আমরা অনেক নির্যাতিত হয়েছি। ৭৮ হাজারের বেশি মামলা হয়েছে আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। আমরা অনেকবার কারাগারে গিয়েছি। আমার নামে নতুন করে মামলা দিয়েছে৷ কিন্তু আমরা মামলাকে কিছু মনে করি না। আমার মামলার সংখ্যা ৮৬টি ছাড়িয়ে গেছে। আমাদের অনেক নেতার বিরুদ্ধে ১৪০টি, ১৫০টি করে মামলা।
বিএনপি মহাসচিব বলেন: ছাত্রদের আন্দোলন অত্যন্ত সুন্দর, সুশৃঙ্খল। তাদের একটি ব্যানার খুব ভালো লেগেছে আমার, যেখানে লেখা- ‘রাস্তা বন্ধ। রাষ্ট্র মেরামতের কাজ চলছে। সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখিত’। ছেলেরা আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন: আওয়ামী লীগ একটি সংগ্রামী দল। আজ সে দলটিই ছেলেদের উপর গুণ্ডা লেলিয়ে দিয়েছে। ছাত্রলীগ দিয়ে আক্রমণ করেছে। আজকের পত্রিকায় সব এসেছে। গতকাল প্রধানমন্ত্রী নিজে বলেছেন, ‘অনেক হয়েছে বাড়ি ফিরে যাও৷ আমি আর কোনো মায়ের বুক খালি দেখতে চাই না’। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও হুমকি দিয়েছেন। এর পরপর ই আক্রমণ হয়েছে ছেলেদের উপর।
তিনি বলেন, অনেকের বাসায় বাসায় হুমকি দিচ্ছে। প্রত্যেক জেলায় গ্রেপ্তার শুরু হয়েছে। যারা এই আন্দোলনে সংগঠক হিসেবে কাজ করছে তাদের গ্রেপ্তার করছে।
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বিকল্প ধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ডা. বি. চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফর উল্লাহ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ নজরুল প্রমুখ।