সব ব্যাংককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন বিষয়ে সজাগ ও সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান।
শনিবার এক্সিম ব্যাংকের ‘বার্ষিক বামেলকো সম্মেলনে’ এ কথা বলেন তিনি। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ, সন্ত্রাসে অর্থায়ন ও বাণিজ্যভিত্তিক মানি লন্ডারিং শিরোনামে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
মোহা. রাজী হাসান বলেন, দেশের মধ্যে যাতে মানি লন্ডারিংয়ের কোনো ঘটনা না ঘটে সেদিকে সবাইকে তৎপর থাকতে হবে। তাই সব ব্যাংককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন বিষয়ে সজাগ ও সচেতন থাকতে হবে। কারণ বাংলাদেশ এখন মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
তিনি বলেন, সবাইকে মানি লন্ডারিংয়ের নির্দেশনা মেনে ব্যাংকিং করতে হবে। পাশাপাশি সব ধরনের ঝুঁকি মুক্ত হয়ে এক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জনকে সুসংহত করার আহ্বান জানান।
সম্মেলনে এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী ড. মোহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া বলেন, ‘সরকার ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্স প্রেরণের জন্য ২ শতাংশ প্রণোদনা দিয়েছে। ফলে হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ পাচার কমে যাবে এবং মানি লন্ডারিং হওয়ার সুযোগও কমে যাবে।’
সন্ত্রাসীরা যাতে আর্থিকভাবে শক্তিশালী হতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য সব বামেলকোদের পরামর্শ দেন তিনি এবং মানি লন্ডারিংয়ের সব নির্দেশনা পরিপালন করে অ্যাকাউন্ট খোলার আহ্বান জানান হায়দার আলী মিয়া।
হায়দার আলি মিয়া বলেন, মানি লন্ডারিং এবং সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে ব্যাংকের গৃহিত বিভিন্ন পদক্ষেপের বিষয়ে এক্সিম ব্যাংক জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করবে।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএফআইইউর অপারেশনাল হেড ও বাংলাদেশ ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজার মো. জাকির হোসেন চৌধুরী, যুগ্ম পরিচালক সৈয়দ কামরুল ইসলাম, উপ-পরিচালক মো. রোকনুজ্জামান, এক্সিম ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হুমায়ুন কবীর, শাহ্ মো. আব্দুল বারী, শেখ বশিরুল ইসলাম এবং প্রধান কার্যালয়ের বিভাগীয় প্রধানরা।