যুদ্ধাপরাধী আলবদর কমান্ডার মীর কাসেম আলীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার চালা গ্রামে নিজ ভিটায় তাকে সমাহিত করা হয়েছে।
শনিবার রাত পৌনে ৩ টার দিকে মীর কাসেমের মরদেহ এসে পৌঁছালে তা গ্রহণ করেন তার পরিবারের সদস্যরা। পরে কড়া নিরাপত্তায় সোয়া ৩ টার দিকে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজা শেষে নিজ ভিটায় নির্মিত মসজিদের উত্তর পাশে রাত সাড়ে ৩ টায় তাকে দাফন করা হয়। এসময় তার স্ত্রী খন্দকার আয়েশা খাতুন, দুই মেয়েসহ ৪০ জন উপস্থিত ছিলেন।
শনিবার রাত ১০টা ৩০ মিনিটে কাশিমপুর কারাগারে জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। এর মধ্য দিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শাস্তি দিয়ে কলঙ্কমোচনের পথে এগিয়ে যায় দেশ।
মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতে ইসলামীর কর্মপরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে অপহরণ, গুম, খুন ও নির্যাতনসহ ১৪টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ গঠন করেছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এর আগে, মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতে ইসলামীর কর্মপরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে অপহরণ, গুম, খুন ও নির্যাতনসহ ১৪টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ গঠন করেছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বিচার কাজ শেষে ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালের রায়ে ১০টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়। পরে সর্বোচ্চ আদালত আপিল বিভাগের রায়ে একটি অভিযোগে ফাঁসি ও পৃথক ছয়টি অভিযোগে বিভিন্ন মেয়াদে সাজার দণ্ড পান মীর কাসেম। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার আসামির রিভিউ আবেদন খারিজ করে রায় বহাল রাখা হয়।