মস্তিষ্কের একটি বিশেষ অংশে ক্রমাগত চাপের ফলে হার্টের সমস্যা আরো বেড়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ববিখ্যাত চিকিৎসা বিষয়ক সাময়িকী দ্য লানসেট।
৩০০ মানুষের উপর পরিচালিত একটি গবেষণা থেকে দেখা যায়, মস্তিষ্কের অ্যামিগডালা নামক অংশটি যত বেশি কার্যকর হবে তত বেশি হার্টের সমস্যা বাড়বে। তাতে সেটা শিগগিরই হোক বা দেরিতে।
হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল পরিচালিত এই গবেষণা থেকে জানা যায়, অ্যামিগডালা মস্তিস্কের এমন একটি অংশ যেখানে নানান ধরনের আবেগ যেমন ভয় ও রাগের তৈরি হয়। আর সেটাই হার্ট অ্যাটাকের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।
ধূমপান এবং উচ্চ রক্তচাপের মতোই মানসিক চাপও একটি রিস্ক ফ্যাক্টর বলেই জানান মার্কিন গবেষকরা।
হার্ট এক্সপার্টরা বলেন, হার্টের সমস্যার ঝুঁকি যাদের আছে তাদের মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করার পদ্ধতি জানতে হবে।
আবেগের বশবর্তী হয়ে যেসব মানসিক চাপ তৈরি হয় সেগুলোর কারণেও হৃদপিণ্ডের উপর চাপ তৈরি হয়। আর সেটার কারণে হার্টের রক্তনালীতে সমস্যা তৈরি হয়। তবে ঠিক কি উপায়ে এটি সংঘটিত হয় সেটা এখনো জানা যায়নি।
শরীরের অস্থিমজ্জায় অ্রামিগডালা থেকে সিগনাল গেলে বাড়তি শ্বেতরক্তকণিকা তৈরি হয়। যেটা ধমনীকে আক্রান্ত করে। ফলে রক্তচলাচল ব্যহত হয়। আর তার ফলেই সংঘটিত হয় হার্ট অ্যাটাক, কণ্ঠনালীপ্রদাহ ও স্ট্রোকের মতো ঘটনা।
আবার যারা মানসিক চাপে থাকে তাদের মস্তিষ্কের এই অংশটি অনেক আগে থেকেই হৃদরোগের সমস্যা টের পায়। যদিও এই চেইনটি এখনো ভালোভাবে বুঝতে পারেননি গবেষকরা।
এই গবেষণার প্রধান লেখক হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের মেডিসিনের প্রফেসর ড. আহমেদ তাওয়াকল বলেন, মানসিক চাপ কিভাবে হৃদরোগ ঘটায় সেই বিষয়টার গভীরে দৃষ্টি দিতে সহায়তা করবে এই গবেষণা। পাশাপাশি মানসিক চাপ কমিয়ে দিলে মানুষ মানসিকভাবেও আরো সুন্দর জীবন যাপন করতে পারবে।
তাই হৃদপিন্ডকে সুস্থ রাখতে চাইলে নিজের মনের মধ্যে তৈরি হওয়া নানান চাপ নিয়ন্ত্রণের উপায় আপনাকেই বের করতে হবে।