চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

মানব পাচার রোধে বিভাগীয় পর্যায়ে ট্রাইব্যুনাল

মানবপাচার রোধে দেশের সাত বিভাগে সাতটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রস্তাব পাঠানোর কথা জানান আইন মন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, দেশের প্রচলিত আইনেই এ ট্রাইব্যুনাল পরিচালিত হবে।

এ প্রস্তাবের কারণ হিসেবে আইন মন্ত্রী জানান, বিভাগে বিচার হলে ভিকটিমদের বিচার পাওয়া সহজ হবে। সিন্ডিকেটের কারণে যেসব জায়গায় অপরাধ হয় সে সব জায়গায় অর্থাৎ জেলায় বিচার হলে ভিকটিমদের অভিযোগ প্রমাণ নাও হতে পারে।আইন মন্ত্রী বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত ট্রাইব্যুনাল না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালে মানব পাচারের মামলার বিচার হবে।

মন্ত্রী জানান, মানবপাচারের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৭শ ৫৭টি মামলা হয়েছে, অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে ২শ’টির এবং ১২টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে।

অবৈধভাবে যারা বিদেশে পাড়ি জমিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আইন মন্ত্রী বলেন, কেউ যদি অপরাধ না করে তাহলে অবশ্যই তার শাস্তি হবে না। আর যারা পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধেও কখনো ব্যবস্থা নেবে না সরকার। পাচারের শিকার হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।তবে পরিস্থিতি সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে নেয়া হবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা।

গত কয়েক সপ্তাহে জীবিকার খোঁজে অবৈধভাবে বঙ্গেপাসাগর পাড়ি দেয়ার সময় কয়েক হাজার অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়েছে। পাচারের সময় মিয়ানমারের রোহিঙ্গা ও বালাদেশী অভিবাসীদের মানবেতর জীবন বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

এমনকি পাচারকারীদের খপ্পরে পড়ে অভিবাসীদের জীবনও দিতে হয়েছে। থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় এসব অভিবাসীদের কবরও উদ্ধার হয়েছে। গণকবরগুলোর আশেপাশে পাচারকারীদের আস্তানারও খোঁজ পাওয়া গেছে। যেখানে অভিবাসীদের বন্যপ্রাণীর মতো খাঁচায় আটকে রাখা হতো।

এর আগে আইন মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন ঢাকায় সুইডেনের রাষ্ট্রদূত ইয়োহান ফ্রিসেল। বৈঠকে আইন মন্ত্রী সুইডেনের রাষ্ট্রদূতকে জানান, যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন মামলার আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া থেকে সরে আসার কোনো সুযোগ নেই।