সরকারের সাথে মানবাধিকার সংগঠনের ইতিবাচক সংশ্লিষ্টতা বিষয়ে আর্টিকেল নাইনটিনের আয়োজনে একট আলোচনা সভায় মানবাধিকার সংগঠনগুলো সরকারের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সাংবাদিকদের সুরক্ষাসহ মানবাধিকারের বিভিন্ন ইস্যুতে সম্মিলিতভাবে কাজ করার সুযোগ আছে বলে জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত এই সভায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
মতপ্রকাশের স্বাধীনতা তথা মানবাধিকারের সুরক্ষা ও প্রসারে সরকারের সঙ্গে সমন্বিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আর্টিকেল নাইনটিন এই সভা আয়োজন করে।
আর্টিকেল নাইনটিন বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুখ ফয়সলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এ জেড এম নাফিউল ইসলাম, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) রফিকুল ইসলাম এবং ডিএমপি গুলশান বিভাগের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) এডিসি এসএম রেজাউল হক।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এনামুল হক সাগর ও মো. আবু ইউসুফ, আর্টিকেল নাইনটিনের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মরিয়ম শেলী এবং প্রোগ্রাম সহযোগী সাবরিনা মমতাজ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আর্টিকেল নাইনটিনের পরামর্শক জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি।
আলোচনায় বর্তমান মানবাধিকার পরিস্থিতি, পুলিশ-সাংবাদিক সম্পর্কের নানা দিক, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের সুরক্ষা, পুলিশের মানবাধিকার, অনলাইন সাংবাদিকতা বিষয়ক নীতিমালা ও মিডিয়া হাউসগুলোতে সাংবাদিক নিয়োগের ক্ষেত্রে পেশাদারিত্বের চর্চা প্রভৃতি বিষয় উঠে আসে।
বক্তারা মানবাধিকারের সুরক্ষা ও প্রসারে পুলিশ, গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংগঠনের সমন্বিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
পুলিশের ডিআইজি এ জেড এম নাফিউল ইসলাম বলেন, কর্মক্ষেত্রে পুলিশ ও সাংবাদিক একে অপরের সহযোগী, প্রতিদ্বন্দ্বী নয়। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে যে কোন আইনি তৎপরতার ক্ষেত্রে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে।
সভাপতি ফারুখ ফয়সল বলেন, মানবাধিকার সংগঠনগুলো সরকারের প্রতিপক্ষ নয়, সহযোগী। পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সাংবাদিকদের সুরক্ষাসহ মানবাধিকারের বিভিন্ন ইস্যুতে সম্মিলিতভাবে কাজ করা সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে সকলের অংশগ্রহণে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের কথা বলা হয়েছে। এই লক্ষ্যে আর্টিকেল নাইনটিন সরকার, নাগরিক অংশীজন ও সংগঠনের মধ্যে ইতিবাচক সম্পৃক্ততার মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছে।