“জোরপূর্বক কাজে বাধ্য করতে এবং যৌনকাজে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে পুরুষ, নারী ও শিশু পাচারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ মূলত একটি উৎস দেশ, এবং কখনো কখনো ট্রানজিট এবং গন্তব্য দেশ।” মানবপাচার প্রতিবেদন ২০১৬-এ (টিআইপি প্রতিবেদন) এমনটি উল্লেখ করা হয়।
মানবপাচারের শিকারদের নিরাপত্তা আইন (ট্রাফিকিং ভিক্টিমস প্রটেকশন অ্যাক্ট – টিভিপিএ)-এর আওতায় প্রতিবেদনটি আধুনিক দাসপ্রথার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী সরকারসমূহের লড়াই প্রচেষ্টার মূল্যায়ন করে।
শুক্রবার মার্কিন দূতাবাসের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মানবপাচার নির্মূলে নূন্যতম মান পুরোপুরি অর্জন করতে পারেনি বিধায় প্রতিবেদনে বাংলাদেশ দ্বিতীয় স্তরে মূল্যায়িত হয়েছে।
মানবপাচার মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের জোরালো সমর্থন ব্যক্ত করা হয়। আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) “বাংলাদেশ কাউন্টার ট্রাফিকিং ইন পার্সন” কর্মসূচির মাধ্যমে এই সহযোগিতা অব্যাহত রাখার কথাও বলা হয়।
২০১২ সালের “মানবপাচার রোধ ও দমন আইন” বাস্তবায়নের জন্য নীতিমালা চূড়ান্তকরণ ও গ্রহণ এবং তা ব্যবহারে সরকারি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ প্রদানের পরামর্শ দেয়া হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ৩০শে জুন ওয়াশিংটন ডিসিতে টিআইপি প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার ঘোষণা দেন।