চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

মানবতাবিরোধী অপরাধে ফিরোজ খাঁ’র মৃত্যুদণ্ড

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে রাজশাহীর পুঠিয়ার মো. আব্দুস সামাদ (মুসা) ওরফে ফিরোজ খাঁ’কে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যাুনাল।

আসামির বিরুদ্ধে আনা ৪টি অভিযোগ প্রমাণিত উল্লেখ করে মঙ্গলবার বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই রায় ঘোষণা করেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলা পরিচালনা করেন প্রসিকিউটর ঋষিকেশ সাহা ও জাহিদ ইমাম। আর আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।

এরআগে গত ১৪ এপ্রিল এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার জেরা শেষ হয়। এরপর গত ৪ জুলাই যুক্তিতর্ক শুরু হয়। আর ৮ জুলাই যুক্তিতর্ক শেষ হলে আদালত মামলাটির রায়ের জন্য অপেক্ষমান রাখেন। অবশেষে আজ ১৭৪ পৃষ্ঠার রায়ের সারসংক্ষেপ আকারে ঘোষণা করা হয়।

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় পুঠিয়ার ভালুকগাছি ইউনিয়নের শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলামের (মৃত) নেতৃত্বে রাজাকার বাহিনীর হয়ে এই আসামি পুঠিয়া ও দুর্গাপুর এলাকায় অপরাধ সংঘটন করে।

আসামির বিরুদ্ধে চার সাঁওতালসহ ১৫ জনকে হত্যা, ২১ জনকে নির্যাতন ছাড়াও অপহরণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগের অভিযোগে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

আসামির উপস্থিতিতে শুনানি করে আদালত ২০ এপ্রিল অভিযোগ আমলে নেয়। পরে গত বছরের ৩০ জুলাই প্রসিকিউশন ও ১৪ আগস্ট আসামি পক্ষ অভিযোগ গঠনের উপর শুনানি করলে ৯ সেপ্টেম্বর আদালত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেয়। এরপর ১০ অক্টোবর প্রসিকিউশনের সূচনা বক্তব্য ও সাক্ষ্য গ্রহনের মধ্যদিয়ে শুরু হয় এ মামলার বিচারকি কাজ।

তবে ২০১৬ সালের ১১ ডিসেম্বর মালাটির তদন্ত শুরুর সময় এ মামলায় আসামি করা হয়েছিল ৬ জনকে। কিন্তু তদন্ত চলার সময়ই বাকি পাঁচ আসামির মৃত্যু হলে একমাত্র আসমি হিসেবে মো. আব্দুস সামাদ (মুসা) ওরফে ফিরোজ খাঁ’ই থাকেন।

পরবর্তীতে এ মামলার তদন্ত চলার সময় নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার হন আসামি ফিরোজ খাঁ। পরে ২০১৭ সালে ২৪ জানুয়ারি তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে ট্রাইব্যুনাল তাকে কারাগারে পাঠান। আজ রায় ঘোষণার সময় ফিরোজ খাঁ আদালতের কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন।