রক্ষণের প্রতিরোধ আর আক্রমণে সুপরিকল্পিত ফুটব মাদ্রিদ ডার্বিতে সহজ জয় এনে দিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদকে। তিন ফরোয়ার্ডের দুজন গোল পেয়েছেন, একজন দুই গোলেই করেছেন অ্যাসিস্ট। মৌসুমের প্রথম ডার্বিতে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে হারাতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যদের।
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রোরবার রাতে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ২-০ গোলের জয় তুলেছে রিয়াল। শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলা স্বাগতিকদের প্রথমার্ধে লিড এনে দেন করিম বেনজেমা। দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মার্কো আসেনসিও। সতীর্থদের দুই গোলেই কারিগর ছিলেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র।
লা লিগায় মৌসুমে রিয়ালের এটি টানা সপ্তম জয়। পয়েন্ট টেবিলে অবস্থান আরও সুসংহত হয়েছে তাদের। শীর্ষস্থানের রিয়াল টেবিলের দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা সেভিয়ার চেয়ে ৯ পয়েন্ট এগিয়ে আছে।
জয়ে ১৭ ম্যাচে ১৩ জয় ও তিন ড্রয়ে রিয়ালের পয়েন্ট এখন ৪২। এক ম্যাচ কম খেলা সেভিয়ার পয়েন্ট ৩৪। ১৬ ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে চারে অ্যাটলেটিকো।
হারায় টানা ৮ ম্যাচে রিয়ালের বিপক্ষে জয় তুলতে ব্যর্থ হল ডিয়েগো সিমিওনের শিষ্যরা। একই শহরের দুই দলের ম্যাচ ঘিরে ছিল বাড়তি উত্তাপ। মাঠের ফুটবল শুরুতে ছিল সেটার উল্টো, ধীরগতির।
ম্যাচের ১৬তম মিনিটে ভিনিসিয়াসের বাড়ানো বলে বেনজেমার গোলটি খেলার প্রাণ ফেরায়। এবারের আসরের ১৬ ম্যাচে ১৩ গোল হল ফরাসি তারকার।
প্রথমার্ধে আর কোনো গোল হয়নি। বল দখলে পিছিয়ে থাকা অ্যাটলেটিকো ৩৫ মিনিটে বক্সের বাইরে একটি ফ্রি-কিক পায়। গ্রিজম্যানের সেই শটে অসাধারণ নৈপুণ্য ঠেকিয়ে দেন থিবো কোর্ত্তোয়া।
দ্বিতীয়ার্ধের নেমে ব্যবধান দ্বিগুণে মরিয়া হয়ে ওঠে রিয়াল। সহজ সুযোগ হারান আসেনসিও। বক্সের সামান্য বাইরে থেকে ভিনিসিয়াসের পাসে বল পেয়ে শট নিতে দেরি করে ফেলেন। পাল্টা আক্রমণে ভীতি ছড়ানো ম্যাথিউস কুইয়ার শট কোর্ত্তোয়া পা দিয়ে ফিরিয়ে দেন।
ম্যাচের ৫৭ মিনিটে আসেনসিও রিয়ালের হয়ে দ্বিতীয় পেরেকটি ঠোকেন। টনি ক্রুসের থেকে বল পেয়ে ভিনিসিয়াস সেটি বক্সের ডানে থাকা আসেনসিওকে বাড়ান। জাল খুঁজে নিতে ভুল করেননি স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড। ৭৬ মিনিটে গোলমুখে বাড়ানো বলে টোকা দিতে না পারায় স্কোরশিটে নাম লেখানোর সুযোগ হয়নি ভিনিসিয়াসের। তিন মিনিট পর অ্যাটলেটিকোর থমাস লেমা শট নিয়েছিলেন, কোর্ত্তোয়ার দেয়াল টপকাতে পারেননি।