চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

মাদুরোর গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা উড়িয়ে দিলেন গুইদো

চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার ফলে ভেনিজুয়েলায় গৃহযুদ্ধ হতে পারে, প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর এমন আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছেন বিরোধী দলীয় নেতা এবং দেশটির স্বঘোষিত অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হুয়ান গুইদো।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কমপক্ষে ১২টি দেশ ভেনিজুয়েলার অন্তবর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে গুইদোকে স্বীকৃতি দেয়ার পর এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন মাদুরো।

স্প্যানিশ টেলিভিশনে সোমবার মাদুরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের ‘পাগলামি ও আগ্রাসনের মাত্রা’র ওপর নির্ভর করছে ভেনিজুয়েলায় যুদ্ধ হবে কি হবে না।

তবে এর জবাবে সোমবারই কারাকাস ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সংবাদ সম্মেলনে মাদুরোর হুঁশিয়ারিকে প্রত্যাখ্যান করেন গুইদো। তিনি বলেন, ভেনিজুয়েলায় কোনো যুদ্ধের সম্ভাবনা নেই। পুরো চিন্তাটাই মাদুরোর ‘মনগড়া’ বলে উড়িয়ে দেন এই বিরোধী দলীয় নেতা।

এর আগে রোববারের মধ্যে নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবি করে আসছিল যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেনসহ অন্য ইউরোপীয় দেশগুলো। এমনকি মাদুরোবিরোধী ১২ জাতির জোটে যোগ দিতে ইটালিকে আহ্বানও জানিয়েছেন ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট প্রেসিডেন্ট আন্তনিও তাজানি।

ভেনেজুয়েলায় জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর থেকেই ব্যাপকভাবে চলছে সরকারবিরোধী আন্দোলন। একদিকে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট শপথ নিয়ে নিজেকে বৈধ দাবি করছেন, অন্যদিকে বিরোধী দলীয় নেতা তাকে অবৈধ উল্লেখ করে নিজেকেই অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করে বসে আছেন।

আর এ ইস্যুতেই যুক্তরাষ্ট্রসহ বিদেশি পক্ষগুলোর সরাসরি হস্তক্ষেপ যেন আগুনে ঘি ঢেলে দিয়েছে। বিরোধী দলের নেতা হুয়ান গুইদোকে সমর্থন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদেশগুলো।

তবে রাশিয়া, চীনসহ আরও কয়েকটি দেশ নিকোলাস মাদুরোর প্রতি নিজেদের সমর্থন জানিয়ে ভেনেজুয়েলায় মার্কিন হস্তক্ষেপের নিন্দা করেছে।ভেনেজুয়েলার-বিক্ষোভ-ভেনিজুয়েলা-গৃহযুদ্ধ-নিকোলাস মাদুরো-আশঙ্কা

জানুয়ারির নির্বাচনে জিতে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে মাদুরো শপথ নিলেও নির্বাচনকে প্রথম থেকেই অবৈধ দাবি করছে বিরোধী দলগুলো। কারণ বেশিরভাগ বিরোধী দলীয় নেতা ওই সময় হয় কারাগারে থাকার কারণে বা নির্বাচন বয়কটের মাধ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি।

নেতৃত্ব নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ-বিক্ষোভের মুখেও এরই মধ্যে মাদুরো নতুন করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনা বাতিল করে দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, তিনি দাবি করেছেন গত নির্বাচনে তার বিজয় একেবারেই বৈধ ছিল।

তবে নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে বিরোধী দলীয় নেতা হুয়ান গুইদো নিজেকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন। যার ফলে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা নিয়ে টানাপোড়েন চরম পর্যায়ে চলে যায়।

এর ফলে রাজধানী কারাকাসের রাজপথে নেমেছে হাজারো বিক্ষোভকারী। তবে তাদের একদল নিকোলাস মাদুরোর পক্ষে, আর অন্য দল সমর্থন দিচ্ছে হুয়ান গুইদোকে।

গত ৩১ জানুয়ারি গুইদোর বাড়িতে হানাও দিয়েছিল প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর বিশেষ পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় তার পরিবারের সদস্যাদের ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।