শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে রীতিমত হাঁসফাঁস করে মরেছেন বিপিএলে খেলা ব্যাটসম্যানরা। সেই খরা কাটানোর আশা ছিল সিলেটেপর্বে এসে। কিন্তু প্রথম দিনেই হতাশার দেখা সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের উইকেটে। প্রথম ম্যাচ লো-স্কোরিং, দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে জ্বলেপুড়ে মরল স্বাগতিক সিলেট সিক্সার্সই। প্রতিপক্ষকে মাত্র ৬৮ রানে অলআউট করে পরে নিজেরাও খানিকটা কাঁপাকাঁপি করে জিতেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস!
মঙ্গলবার সিলেট পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে সিক্সার্সের বিপক্ষে ৬৯ রানের টার্গেটে কুমিল্লা জিতেছে খানিকটা ঘাম ছুটিয়েই। শুরুতেই দুই উইকেট হারানোর পর অল্পরানের লক্ষ্য অবশ্য ৮ উইকেটের বড় জয়ই পেয়েছে ইমরুল কায়েসের দল।
সবুজ ঘাসে ভরা উইকেট। সঙ্গে শিশিরে ভেজা মাঠ। ফিল্ডারদের হাঁটার সময় বারবার জুতোয় মাটি লেগে যাচ্ছিল। বোলারদের জন্য এককথায় আদর্শ! দিনের প্রথম ম্যাচে ১২৮ রান করেও যখন রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে ২৫ রানে জয় পেল খুলনা টাইটানস, তখনই আন্দাজ করা যাচ্ছিল উইকেটে ব্যাটসম্যানদের জন্য মাইনফিল্ড বানিয়ে রেখেছে সিলেট স্টেডিয়াম।
স্পিনার মেহেদী হাসানের তোপে দ্বিতীয় ওভারে অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারসহ তিন টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বসে সিলেট, পরে আর পথেই ফেরা হয়নি। ২২ রানে ৭ উইকেট পড়ায় শঙ্কা জেগেছিল লজ্জারও। মনে হচ্ছিল, খুলনা টাইটান্সের করা ২০১৬ সালে বিপিএলের সর্বনিম্ন ৪৪ রানের রেকর্ড বুঝি ভাঙতে চলেছে সিলেট।
সেই রেকর্ডে নাম লেখাতে হয়নি সিলেটকে। ভাঙতে হয়নি নিজেদের ৫৯ রানে তৃতীয় সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ডটিও। ধন্যবাদটা প্রাপ্য ‘লোকাল বয়’ অলোক কাপালির। তার অপরাজিত ৩৩ রানে কোনরকমে লজ্জা এড়ায় সিলেট। তবে যেটা হয়েছে সেটাও লজ্জার! সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার ষষ্ঠ কীর্তিটা এখন তাদেরই।
শেষ পর্যন্ত ২২ রানে ৪ উইকেট নিয়ে থেমেছেন মেহেদী। ১৫ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন কুমিল্লার পাকিস্তানি পেসার ওয়াহাব রিয়াজ। ২ উইকেট নিয়েছেন লিয়াম ডসন।
সহজ টার্গেট। কিন্তু ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই রানআউট হয়ে এনামুল হক ফিরলে শঙ্কা জাগে, সিলেটের মতো কুমিল্লার অবস্থাও হবে না তো? দলীয় ১০ রানের মাথায় সোহেল তানভীরের বলে তামিম ইকবাল এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়লে সেই শঙ্কা আরও গাঢ় হয়।
শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। হতে দেননি অধিনায়ক ইমরুল ও অভিজ্ঞ শামসুর রহমান শুভ। দুজনে অবিছিন্ন ৫৯ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে ভিড়িয়েছেন। ৩৪ করেছেন শুভ আর ৩০ রান এসেছে ইমরুলের ব্যাট থেকে।