প্রায় তিন মাস আগে রাজধানীর উত্তরায় মাইক্রোবাসে এক গারো মেয়ে ধর্ষণের শিকার হন। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত করছে র্যাব-১। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ব্যাবের পরিচালক মুফতি মাহমুদ জানিয়েছেন, তদন্ত এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আগামী সপ্তাহে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।
ঘটনার পর মামলায় প্রধান অভিযুক্ত আশরাফ ওরফে তুষারসহ দুইজনকে আটক করে র্যাব।
গত ২৬ মে রাতে র্যাব সদস্যরা তাদের কুয়াকাটা ও ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেন। তারা দুজনই এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার দায় স্বীকার করেছে। তাদের সঙ্গে মাইক্রোবাসটিও উদ্ধার করেছেন র্যাব সদস্যরা।
র্যাবের কাছে দেয়া জবানবন্দিতে তুষার জানিয়েছে, গারো মেয়েটি তার পূর্বপরিচিত। ঘটনার রাতে মেয়েটি তার কাছে চাকরির জন্য সিভি দিতে এসেছিলো। পরে মেয়েটি তাকে উত্তরায় পৌঁছে দিতে বলেছিলো। মেয়েটি তাদের গাড়ীতে ওঠার পর ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। সে সময় চালক লাভলু এবং সে ছাড়া অন্য কেউ ছিল না বলে তুষার জবানবন্দিতে জানায়।
২১ মে রাতে গারো তরুণীটি কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে একদল যুবক মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে গাড়িতে গণধর্ষণ করে রাস্তায় ফেলে রেখে যায়। এই ঘটনায় রিট করে পাঁচটি মানবাধিকার সংগঠন। ধর্ষণের শিকার গারো তরুণীটি রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে একটি দোকানে কাজ করতেন।