চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

মাংস রান্নার স্বাস্থ্যকর উপায়

লাল মাংস আয়রন ও প্রোটিনের ভালো উৎস। তবে লাল মাংসের কারণে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে কিংবা হৃদপিণ্ডের সমস্যা আছে তাদের জন্য লাল মাংস খাওয়া খুবই ক্ষতিকর। লাল মাংস ওজন বাড়ায় এবং রক্তের কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু বছরের অন্য সময়ের চেয়ে কোরবানির ঈদে গরু, খাশি বা যে কোনো ধরনের লাল মাংস একটু বেশি খাওয়া হয়ে থাকে। তাই মাংসটা একটু স্বাস্থ্যকর উপায়ে রাঁধুন।

জেনে নিন স্বাস্থ্যকর উপায়ে মাংস রান্নার কিছু পদ্ধতি:

মাংস ছোট টুকরো করে কেটে নিন। কাটার সময় চর্বি ফেলে দিন।

রান্নার আগে মাংস সেদ্ধ করে পানি ঝড়িয়ে খেতে পারেন। এতে স্বাদ কিছুটা কমে গেলেও অতিরিক্ত চর্বি অনেকটাই কমে যাবে।

মাংস রান্না করার সময় এমনিতেও অনেক বাড়তি তেল বের হয়। তাই মাংস রাঁধতে অল্প তেল দিন। সয়াবিন তেলের বদলে অলিভ অয়েল কিংবা সূর্যমুখীর তেল ব্যবহার করুন। লো কোলেস্টেরল তেল ব্যবহার করলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি কিছুটা হলেও কম হবে।

রান্নার পর মাংস ঠাণ্ডা হয়ে গেলে উপরে যেই চর্বির আস্তরণ জমে সেটা তুলে ফেলে দিন। এতে মাংসের চর্বি অনেকটাই কমে যাবে।

মাংস গ্রিল কিংবা ঝলসে খেলে চর্বি অনেকটাই ঝরে যায়। বাড়তি চর্বি ঝরে যাওয়াতে স্বাস্থ্যের ক্ষতি কিছুটা কম হয়। তবে ঝলসে খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যেন মাংস ভালো করে সেদ্ধ হয়। সেদ্ধ না হলে নানা ধরনের জীবাণু রয়ে যেতে পারে যা স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

অনেকগুলো সবজির সঙ্গে অল্প করে মাংস দিয়ে রাঁধুন। কম তেলে কিংবা অলিভ অয়েলে স্টির ফ্রাই করে রাঁধলে মাংস খাওয়ার পরিমাণ নিয়ন্ত্রিত থাকবে। একবারে বেশি পরিমাণে মাংস খাওয়া হবেনা বলে ব্যায়ামের মাধ্যমে বাড়তি ক্যালরি সহজেই ঝরানো যাবে।

মাংসের সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে সালাদ খান। এতে অতিরিক্ত মাংস খেয়ে ফেলার ঝুঁকি কমে যাবে।

খেতে বসার আগে এক গ্লাস পানি খেয়ে নিন। বাড়তি মাংস খাওয়ার ইচ্ছে চলে যাবে।

মাংস খেলে প্রতিদিনের নির্ধারিত সময়ের চেয়ে কিছুটা বাড়তি সময় হাঁটুন কিংবা ব্যায়াম করুন।