ব্যস্ততা কম থাকায় ঈদের দিন একটু বেশি করে ঘুমাতে চান ছোট পর্দার ও বড় পর্দার তুমুল জনপ্রিয় অভিনেত্রী মৌসুমী হামিদ। ‘জালালের গল্প’, ‘ব্ল্যাকমানি’ সিনেমার সাফল্যের পর বেশ ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন মৌসুমী। চ্যানেল আই অনলাইনের সঙ্গে একান্ত অালাপে এ নায়িকা জানালেন তার ঈদ শপিং, ছোটবেলার ঈদ, বড়বেলার ঈদসহ আরো অনেক কথা।
ঈদ শপিং: রোজার ঈদে বেশি করে শপিং করা হয় বলে কোরবানি ঈদে তেমন একটা শপিং করি না। তারপরও কিছু কেনাকাটা করেছি। দেখা যাক ঈদে কোনটা পড়া হয়।
ঈদ প্রস্তুতি: এই ঈদে সেভাবে শপিং না হলেও ঈদ প্রস্ততি দারুণ। ঈদে নিজের উপার্জনের টাকা দিয়ে কোরবানি দিচ্ছে। এবারে আমি গরু কোরবানি দিচ্ছি। গরু কিনতে হাটে না গেলেও তা ঠিকই হাজির হয়ে গেছে বাড়িতে। এর আগের দুইবছরও নিজের টাকাতেই কোরবানি দিয়েছি।
ঈদের দিন: ঈদের আগে ছোট পর্দার ও বড় পর্দার কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকায় ঈদের দিনটা নিজের মতো করে কাটাবো। সেক্ষেত্রে ঈদের দিন খুব দেরি করে ঘুম থেকে উঠবো।
ছোটবেলার ঈদ: ছোটবেলায় কোরবানি ঈদ খুব মজা করে কাটাতাম। যৌথ ফ্যামিলি হওয়ায় একসঙ্গে কোরবানি দিতাম। ঈদের সকালে যখন বাবা ও চাচারা পশু কোরবানি দিয়ে মাংস বাড়িতে পাঠিয়ে দিতো তখন শুরু হতো মা-চাচীদের মাংস কাটাকাটির পর্ব। আর তখন আমরা সব বোনরা মাংস কাটতে চাইতাম। কিন্তু আমাদের সে সুযোগ দিতো না। তারপরও মায়ের পাশে বসে বসে মাংস কাটা দেখতাম।
বড়বেলার ঈদ: বড় হওয়ার পর ঈদের রঙ প্রতি মুহুর্তে পাল্টিয়েছে। এখন আর ছোটবেলার মতো মন চাইলেও সেভাবে ঈদ উদযাপন করতে পারি না। তারপরও সেভাবে না হলেও বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করা, প্রচুর আড্ডা দেওয়া, আর পরিবারকে সময় দিয়েই এখনকার ঈদ উদযাপন করি। আসলে বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের দায়িত্বও অনেকখানি বেড়ে যায়।
ঈদের স্মৃতি: ঈদের স্মৃতি অনেক। তবে এই মুহুর্তে কোনটি ছেড়ে কোনটি বলবো ঠিক বুঝতে পারছি না। তবে ছোটবেলার ঈদ স্মৃতিকে খুব বেশি মিস করি।