গাজীপুর টাঙ্গাইল ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে পৃথক দুর্ঘটনায় ১৮ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৫০ জনেরও বেশী মানুষ।
গাজীপুরের হায়দারাবাদে জয়দেবপুরগামী ডেম্যু ট্রেনের ধাক্কায় সিএনজি অটোরিক্সার চালক ও ৩ শিশুসহ ৭ যাত্রী ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছে।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের টাঙ্গাইলের বাঐখোলায় একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে ৬ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে কমপক্ষে ২০ জন।
সিলেটের ওসমানীনগরে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে ৩ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। আহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ইসলামাবাদে বাস ও সিএনজি অটোরিক্সার সংঘর্ষে ২জন নিহত ও ৩জন আহত হয়েছে। এছাড়া কুষ্টিয়ার খোকসায় যাত্রীবাহী বাস উল্টে চালকসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশংকাজনক। আহতের খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
গতকাল বুধবার রাতে মুন্সীগঞ্জে বাস ও লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষে স্বামী-স্ত্রীসহ ৭ জন নিহত ও ১৪ জন আহত হয়েছে।
এরআগে গত সোম-মঙ্গলবার সিরাজগঞ্জে পৃথক দুই দুর্ঘটনায় ২০ জন নিহত হওয়ার পরে গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। প্রতিবেদনে তারা, ত্রুটিযুক্ত বাসের কারণে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়ে যানবাহনের গতি কমানো, মহাসড়কে স্পীড ব্রেকার ও ডিভাইডার নির্মাণ, ফিটনেসবিহীন যানবাহন বাতিলসহ ১১টি বিষয়ে সুপারিশ করেছে।