চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

মরে গেলেও নির্বাচন বর্জন করবো না: ড. কামাল

মরে গেলেও নির্বাচন বর্জন করবেন না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন। প্রয়োজনে তার লাশ ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যাবারও নির্দেশ দেন তিনি।

সোমবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সিইসির সাথে আড়াই ঘণ্টার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ এই নেতা।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অন্যান্য কমিশনার ছাড়াও নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।

ড. কামাল বলেন, সংবিধান অনুসারে নির্বাচন কমিশন অনেক ক্ষমতার অধিকারী। তারপরও নির্বাচন কমিশন কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না সেটাই তো বুঝতে পারছি না। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে নির্বাচন কমিশন চায় না আমরা নির্বাচন করি। তারা চায় আমরা যেন ভোটের মাঠ থেকে বেরিয়ে আসি। আমরা মরে গেলেও নির্বাচনের মাঠ ছেড়ে যাব না।

নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থীরা জনসংযোগ চালানোর সমান সুযোগ পাচ্ছে না অভিযোগ করে তিনি বলেন: কোথাও আমাদের ধানের শীষের প্রার্থীরা নামতে পারছে না। আমাদের প্রার্থীরা মাঠে নামলেই তাদের ওপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালানো হচ্ছে। ঢাকা শহরের কোথাও ধানের শীষের পোস্টার নেই। কেন পোস্টার নেয় সে বিষয়ে আপনারা খবর নেন।

ড. কামাল বলেন, ‘আমাদের প্রার্থীদের ওপর কোথায় কোথায় হামলা চালানো হয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য, সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ও ছবি দিয়েছি।

বৈঠকে সারাদেশের ৩০ জেলায় ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানি সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ তুলে ধরা হয়।

আচরণবিধি বর্হিভুত পুলিশী অভিযানের নামে বিএনপিসহ ঐক্য ফ্রন্টের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার, তল্লাশির নামে বাসাবাড়িতে তাণ্ডব, গুরুতর জখম, ‘আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের’ কর্মকাণ্ড বন্ধকরাসহ পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা করে ঐক্য ফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা।

ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল বলেন, ‘আমাদের অভিযোগ সম্পর্কে জেনে সিইসি বিব্রত হয়েছে। আমরা বলেছি, শুধু বিব্রত হলে চলবে না। এগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।’

ড. কামাল হোসেন আরো বলেন, ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু করতে বাধ্য হবে নির্বাচন কমিশন।

ঐক্যফ্রন্টের প্রধান ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, আ স ম আবদুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্না, নজরুল ইসলাম খান, ড. মঈন খান, মোস্তফা মহসিন মন্টু, জাফরুল্লাহ চৌধুরী, আবদুল আউয়াল মিন্টুসহ আরও কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন।