গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত মনপুরা ছবিটি ২০০৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল। এই ছবিটি দেখেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল! আজও দাগ কাটে নিরেট প্রেমের গল্পের ‘মনপুরা’। ওই ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন চঞ্চল চৌধুরী ও ফারহানা মিলি। ছবির গল্পে চঞ্চলের নাম ছিল সোনাই আর মিলির নাম ছিল পরী।
৯ বছর পর গিয়াস উদ্দিন সেলিমের নতুন ছবি স্বপ্নজাল মুক্তি পেতে যাচ্ছে। মনপুরায় যেমন চঞ্চল-মিলির নাম ছিল সোনাই-পরী, মজার ব্যাপার কিংবা কাকতালীয় দুটো একসঙ্গে ঘটেছে স্বপ্নজালেও। এই ছবিতে যে দুটো প্রধান চরিত্র আছে, পর্দার বাইরে তাদের নাম হচ্ছে সোনাই ও পরী। সানাই ছবির নায়ক ইয়াশ রোহানের ডাক নাম, আর নায়িকা পরীমনির নাম হচ্ছে পরী।
এ প্রসঙ্গে গিয়াস উদ্দিন সেলিম বলেন, এটা পুরোটাই কাকতালীয় ভাবে ঘটেছে। আজব ব্যাপার! পরীমনি বলেন, স্বপ্নজাল এমন একটা ছবি যেটা আমাকে দুই বছর ঘরে বন্দি করে রেখেছে! আমি হতাশ হয়ে অনেকবার কান্না করেছি। ওয়াশরুমে গিয়ে সেলিম ভাইকে ফোন দিয়ে বলেছি, আমিতো অন্য শুটিংয়ে যেতে পারিনা। কোনো সংলাপ বলতে পারতাম না, হারিয়ে গিয়েছিলাম। নিজের কাছেই মনে হয়েছিল, আমার যোগ্যতা নেই।
স্বপ্নজাল ছবির নায়ক সোনাই অভিনয় করছেন অপু চরিত্রে, অন্যদিকে পরীমনি অভিনয় করছেন শুভ্রা চরিত্রে। যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত এই ছবিটি আগামী ৬ এপ্রিল বাংলাদেশে মুক্তি পেতে যাচ্ছে, তার সপ্তাহ দুয়েক পরেই মুক্তি পাবে কলকাতায়। ওপারে মুক্তির আগেই টিম স্বপ্নজাল সেখানেও প্রচারণায় অংশ নেবে বলে জানান নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম। ছবির অন্যান্য চরিত্রে আরো অভিনয় করছেন জলুর রহমান বাবু, শাহানা সুমী, শহিদুল আলম সাচ্চু, শিল্পী সরকার, ইরফান সেলিম, মিশা সওদাগর, ফারহানা মিঠু, ইরেশ যাকের, মুনিয়া, শাহেদ আলী, আহসানুল হক মিনু।
সোনাইয়ের পুরো ইয়াশ রোহান, যিনি পরিচালক অভিনেতা নরেশ ভুঁইয়া ও অভিনেত্রী শিল্পী সরকার অপুর ছেলে। ইয়াশ রোহানের বড় পর্দায় অভিষেক হতে যাচ্ছে এই ছবির মাধ্যমে। ইয়াশ একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। ছবিতে কাজ করতে যেয়ে তার তিনটি সেমিস্টার বাদ দিতে হয়েছে বলেও জানান তিনি। সেমিস্টার ফাইনালের সময় ছবির শুটিং পড়ে যায়। তখন পরীক্ষা বাদ দিয়ে আমি শুটিংয়ে অংশ নেই। হয়তো আমার পড়াশোনার কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তবে ছবিটিতে কাজ করতে পেরে সে ক্ষতিটি আমার কাছে বড় কিছু মনে হচ্ছে না।’