ভারতের কেরালার পুত্তিঙ্গল মন্দিরে আগুন লেগে কমপক্ষে ৮৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। দগ্ধ এবং আহত হয়েছে সাড়ে ৩শ’ জনেরও বেশি। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ।
পুলিশ জানিয়েছে, রাত সাড়ে তিনটার দিকে মন্দিরের পাশের মাঠে আতশবাজি উৎসবের জন্য ১০ থেকে ১৫ হাজার মানুষ জমা হয়েছিলো। সেখান থেকেই ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আতশবাজি প্রতিযোগিতা নিষিদ্ধ হওয়া স্বত্ত্বেও মন্দিরের কাছে রাতভর বাজি ফাটানোর প্রতিযোগিতা চলছিলো। হঠাৎ করেই আতশবাজি থেকে আগুনের স্ফুলিঙ্গ গিয়ে পড়ে মন্দির চত্বরে জমা করে রাখা বাজির স্তুপে। মুহূর্তের মধ্যেই সেখানে বিস্ফোরণ হয়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ে গোটা মন্দির ও মন্দির চত্বরে।
আগুনে পুড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় অনেকে। দৌঁড়াদৌঁড়ির সময় পদপিষ্ট হয়ে আরো অনেকের মৃত্যু হয়।
আগুন আয়ত্তে আনা সম্ভব হলেও বিস্ফোরণের তীব্রতা এত বেশি ছিলো যে মন্দিরের ছাদের একাংশ ভেঙে পড়ে। ধ্বংসস্তুপের নীচে কেউ আটকে আছেন কিনা তা খতিয়ে দেখছে উদ্ধারকারী দল। এখনো মন্দিরের ভেতর অনেকে আটকে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিমানবাহিনীর ৪ টি হেলিকপ্টারের সাহায্যে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। পরিস্থিতি সামলাতে বিশেষ উদ্ধারকারী বাহিনী, পুলিশ এবং দমকল বাহিনী চেষ্টা করছে। আহতদের শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মূখ্যমন্ত্রী উম্মেন চণ্ডী ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। প্রয়োজনীয় সমস্ত রকম ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। নিহত ও আহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনাও জানান তিনি। তিনি টুইট করেন, ‘মূখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নাড্ডাকে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখতে বলেছি।’ রোববার যে কোনো সময় এ ব্যাপারে কেরালা যাওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি কন্ট্রোল রুমও খোলা হয়েছে।