নতুন বছর উদযাপনের রাতে নারীর প্রতি চরম অবমাননার জঘন্য রূপ দেখেছে ভারতের বেঙ্গালুরুবাসী। ওই রাতে গণ শ্লীলতাহানীর শিকার হন নারীরা। দল বেঁধে এমন নিপীড়নে কান্না-চিৎকারে এক নিদারুণ বিভীষিকার জন্ম হয় সেই রাতে। বিকৃত যৌন লালসার শিকার হয়ে অনেকেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
এমন নিপীড়নের পরও অপমান কিন্তু শেষ হয়নি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জি পরমেশ্বর এর জন্য আবার নারীদেরকেই দায়ী করেছেন।
নারীদের পশ্চিমা পোশাককে দায়ী করে বলেছেন, ‘তাহলেতো এমনটি হতেই পারে’।
মুখ্যমন্ত্রীর এমন মন্তব্যে ক্ষুদ্ধ হয়েছেন সচেতন মহল। নারী অধিকার কর্মী ও বিরোধী দল তার পদত্যাগ দাবি করেছেন।
বেঙ্গালুরুর বিখ্যাত মহাত্মা গান্ধি (এম জি) রোড এই নারকীয় বিভৎসতার সাক্ষী হয়। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা জনিত বিষয় রক্ষা যার দায়িত্ব সেই মন্ত্রী গতকাল টাইমস নাউতে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, অসংখ্য তরুণ-তরুণীরা জড়ো হয়। এরা প্রায় পশ্চিমা ধাঁচে সেজে এসেছিলো। শুধু মানসিকতাতেই নয় তারা পোশাকেও পশ্চিমাকে অনুকরণ করতে চায়। তাই কিছু বিশৃঙ্খলা, কয়েকজন নারী লাঞ্ছিত, এই রকম বিষয় হতে পারে।”
২০১৭ সালের কাউন্ট ডাউনের জন্য জড়ো হওয়া তরুণ-তরুণীদের ব্যাপারে রাজ্যের ক্ষমতাসীন কংগ্রেস নেতার এমন মন্তব্য বেঙ্গালুরুসহ দেশ জুড়ে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।
ন্যাশনাল কমিশন ফর ওমেন এর প্রধান ললিতা কুমারামাঙ্গালাম বলেন, এই মন্ত্রীর অবশ্যই পদত্যাগ করা উচিত। “ভারতীয় পুরুষদের অবস্থা কি এতই করুণ, তারা এতই দুর্বল যে উৎসব আয়োজনে নারীকে পশ্চিমা পোশাকে দেখলে তাদের মাথা খারাপ হয়ে যায়” মন্ত্রীর প্রতি প্রশ্ন তার।
তবে নারী নিপীড়নকারীদের শাস্তির আওতায় আনার অঙ্গিকার করেছেন মন্ত্রী। তবে নারীদের রক্ষায় ব্যর্থতায় দায় নিতে তিনি রাজি হননি। নতুন বছরের উদযাপনকে শৃঙ্খলিত রাখতে দেড় হাজার পুলিশ নিয়োজিত ছিলো।
সূত্রঃ এনডিটিভি