রাজউকের দেয়া পরিকল্পনা অনুযায়ী ভবন নির্মাণ হয় না বলে মন্তব্য করেছেন স্বয়ং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। দুর্নীতি প্রতিরোধে গণশুনানিতে ভুক্তভোগিরাও নানা অভিযোগ তুলে ধরেছেন।
ফ্ল্যাট-প্লট কিনে অনেকে যেমন প্রতারিত হন তেমনি বাড়ি নির্মাণেও অনিয়ম কম না। আবার কর্তৃপক্ষ হিসেবে রাজউক কর্মকর্তারা যেমন অন্যায় আবদার চাপিয়ে দেন তেমনি তাদেরকে সন্তুষ্ট করে অনিয়মের ঘটনাও অনেক। এসব অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধে গণশুনানির উদ্যোগ নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনে।
শুনানিতে এসে রাজউকের প্লট পাওয়া অনেকেই তুলে ধরেন তাদের ভোগান্তির কথা। রাজউক কর্মকর্তারা চেষ্টা করেন এসব অভিযোগের ব্যাখা দেওয়ার।
বিভিন্ন সময় নানা অভিযোগ পাওয়ার কথা জানায় দুদক। দুদক কমিশনার মো: সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন জায়গায় টিম বসিয়েছিলাম। সেখান থেকে কোনো ইতিবাচক কিছুতো আসেইনি বরং দুর্নীতিতে আরও জড়িয়ে পড়ে। তখনই আমরা এটা গণ শুনানিতে নিয়ে এসেছি।’
শুনানির সময় রাজউকের নানা সীমাবদ্ধতার কথা স্বীকার করেন মন্ত্রী।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘যেসব ভবন গড়ে উঠেছে সেসব দেখলেই বোঝা যায়। বড়জোর এক-দু’টি বিল্ডিংয়ে রাজউক নির্দেশনা মানা হয়েছে। বাড়ি নির্মাণের সময় তদারকি করার মতো এতো জনবল রাজউক-এর নেই।’
সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ভোক্তাদের সঠিক সেবার আশ্বাস দিয়েছে রাজউক। আর দুর্নীতি ঠেকাতে নজরদারি অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছে দুদক।