সড়ক ও পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা ফেরাতে না পারলে সরকারের কোনো মেগা প্রজেক্টই সুফল পাবে না বলে মন্তব্য করেছন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও বিশেষ নির্দেশনা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সড়ক-পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এ সেক্টর থেকে অন্য কেউ যাতে সুযোগ নিতে না পারে সে ব্যবস্থা করতে চান তিনি। এটাকে ‘প্রথম রাতে বিড়াল মারা’র সঙ্গে তুলনা করেছেন ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন: সড়ক পরিবহন বিশৃঙ্খলা জিইয়ে রেখে আমি যত মেগা প্রজেক্ট করি না কেনো, সেটার ফলাফল ভালো হবে না। শৃঙ্খলা না থাকলে বড় বড় প্রজেক্ট করে তো লাভ নেই। এইট লেনের রাস্তা করলাম সেখানে শৃঙ্খলা নেই, তাহলে তো এইট লেনের রাস্তা সুফল দিচ্ছে না। কাজেই প্রথমে আমাকে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে সড়কে, দ্বিতীয়ত পরিবহনে।
তিনি যোগ করেন: এ দুটি জায়গায় আমি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে চাই। মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে বসেছি। এরপর ইলেকশন আসবে, পলিটিক্যাল চাপ আসবে তার আগেই এই সড়কে এবং পরিবহনের শৃঙ্খলার বিষয়টি আমাদের ফিরিয়ে আনতে হবে। এটা অনেকটা প্রথম রাতে বিড়াল মারার মতই।
সরকারের মেগা প্রজেক্টগুলো এগিয়ে চলছে জানিয়ে তিনি বলেন: মেগা প্রজেক্ট গুলোর কাজ এগিয়ে চলছে। পদ্মা সেতুর কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেস আপনারা জানেন একটা পর্যায়ে এর কাজ থমকে গিয়েছিল, এখন সেটাও দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। জুনের ভেতরে ঢাকা গাজীপুর থেকে এলেঙ্গা সড়কের কাজ শেষ হবে। এরপর এলেঙ্গা থেকে রংপুর। রংপুর থেকে এক দিকে যাবে বুড়িমারী ওদিকে যাবে পঞ্চগড় ফোর লেন এসব প্রজেক্ট ঠিক হয়ে আছে। এগুলো হবে এগুলোর ব্যত্যয় হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
পাশাপাশি সরকার নতুন প্রজেক্টও হাতে নিচ্ছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন: আমার এই চলমান কাজগুলো শেষ করার পাশাপাশি আরও দুটো রোড প্রজেক্ট রয়েছে একটা হল ঢাকা সিলেট। এটা শুরু করার পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি। আরেকটা হচ্ছে চট্টগ্রাম কক্সবাজার খুব ইম্পরট্যান্ট প্রজেক্ট এটাও। ফোর লেনের প্রজেক্টে দুটো কাজই নতুন করে এবং আগের কাজগুলোর পাশাপাশি শুরু করতে যাব। এ বছর জুনের আগেই এ কাজগুলো শুরু করার ইচ্ছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের জানান: হেলমেট ছাড়া মটরসাইকেলে চলাচল করায় ওবায়দুল কাদেরের কাছে স্যরি বলেছেন জুনায়েদ আহমেদ পলক।