চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

মনোয়ার-সাজুর নেতৃত্বে টেলিপ্যাব ইশতেহারে চমক

টেলিপ্যাব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৯ মার্চ। এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন মােট ৫৫ জন প্রার্থী। প্যানেলভুক্ত নির্বাচন না হলেও একজোট হয়ে এখানেই মনােয়ার পাঠানসহ সমমনা ২৭ জন একযােগে একটি নির্বাচনী ইশতেহার ঘােষণা করেছেন।

এ উপলক্ষে মনােয়ার পাঠান এবং সাজু মুনতাসির সমমনা ২৭ জন প্রার্থী এবং ভােটারের এক মিলনমেলা হয়ে গেল রাজধানীর ট্রাস্ট মিলনায়তনে ১৩ মার্চ সন্ধ্যায়। এই আয়ােজনে উপস্থিত ছিলেন টেলিভিশন, চলচ্চিত্র এবং শােবিজ ইন্ডাস্ট্রির অনেক পরিচিত এবং প্রিয় মুখ।

সেখানে নানা আয়ােজনের একপর্যায়ে সভাপতি পদপ্রার্থী মনােয়ার হােসেন পাঠান সবার উদ্দেশে পড়ে শােনান তাদের নির্বাচনী ইশতেহার। সংক্ষিপ্তভাবে তারা বলার চেষ্টা করেছেন, প্রযােজকদের মিথ্যা আশ্বাস দিতে চান না, কথার ফুলঝুড়ি ঝরাতে চান না এবং অলীক স্বপ্নও দেখাতে চান না।

তারা ততটুকুই বলতে চান যতটুকু আগামী দুই বছরে বাস্তবায়নযােগ্য। এই নির্বাচনী ইশতেহারেও সমমনা ২৭ জনের স্লোগান ছিল, ‘আমি না, আমরা’। তাদের ঘােষিত ইশতেহারে অন্যতম বিষয় ছিল টেলিপ্যাবকে ‘আমি’ থেকে বের করে আমরা পরিণত করা। তারা চান টেলিপ্যাব হবে সবার; যেখানে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং একজন সাধারণ সদস্যের অধিকার এবং সম্মান হবে এক এবং অভিন্ন।

উল্লেখযােগ্য ঘােষণার মধ্যে রয়েছে- টেলিপ্যাবকে তার সম্মান এবং অবস্থানের দিক থেকে বাংলাদেশের টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির প্রধান সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা, প্রযােজকদের অধিকার এবং সম্মান ফিরিয়ে আনা এবং বাস্তবায়ন করা, টেলিপ্যাব অ্যাওয়ার্ড চালু করা যেটি হবে টেলিভিশন এবং ডিজিটাল মাধ্যমের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভালো কাজের স্বীকৃতি।

প্রতি বছর আয়ােজন করে টেলিভিশন এবং ডিজিটাল মাধ্যমে কাজের স্বীকৃতি দেওয়া হবে এবং সেই কাজগুলােকেই স্বীকৃতি দেওয়া হবে যে কাজগুলাে টেলিপ্যাবের সদস্যরা প্রযােজনা করেছেন।

সরকার যেন জাতীয় টেলিভিশন পুরস্কার প্রবর্তন করেন, সরকারের সঙ্গে আলােচনা সাপেক্ষে সেটি বাস্তবায়ন করতে চান মনোয়ার পাঠান ও সাজু মুনতাসিরের নেতৃত্বে থাকা প্রযোজকরা।