মনস্তাত্ত্বিক অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য এবছর অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেলেন মার্কিন এই অর্থনীতিবিদ রিচার্ড থেলার। একাধিক অর্থনৈতিক বিকল্প থাকলে, কোন বিকল্প বাছবেন মানুষ সেটাই ছিলো থেলারের গবেষণার বিষয়।
থেলারের নাম ঘোষণা করে নোবেল কমিটি জানিয়েছে, ‘ব্যক্তির সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে অর্থনীতি এবং মনস্তাত্বিক সেতু নির্মাণ করেছেন তিনি।’ কমিটি আরও জানিয়েছে, তার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা এবং গবেষণা থেকে প্রাপ্ত ফলাফল আচরণগত অর্থনীতিকে নতুন দিশা দেখিয়েছে। অর্থনীতির গবেষণা এবং নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে তা সহায়ক হবে।
শিকাগো ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক রিচার্ড এইচ থেলারকে মনস্তাত্ত্বিক অর্থায়নের জনক বলা হয়। মনস্তাত্ত্বিক মূলত মানুষের মনস্তত্বেরই একটি পাঠ। যেটা কোনো ব্যক্তিবিশেষ এবং প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।
কী করে মানসিক অনুমান অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার কাঠামো নির্ধারণ করে, তা অনুসন্ধান করেছেন রিচার্ড। পুরস্কার প্রদানকারীদের বক্তব্য, তার কাজ দেখিয়েছে ব্যক্তির সীমাবদ্ধ জ্ঞান, সামাজিক পছন্দ অপছন্দ এবং আত্ননিয়ন্ত্রণের অভাব কিভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়াকে সীমাবদ্ধ করে। এই তিনটি বিষয়ই এক সঙ্গে মানুষের সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং বাজার অর্থনীতিতেও প্রভাব বিস্তার করে।
অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার প্রদানকারী সুইডিশ একাডেমির বিবৃতিতে বলা হচ্ছে, তার অবদান প্রায়োগিক অর্থনীতিকে আরো সমৃদ্ধ করবে।
৭২ বছর বয়সী মার্কিন এই অর্থনীতিবিদ ১৯৪৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ইস্ট অরেঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। থেলার যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব শিকাগোর বিহেভিরিয়াল সায়েন্স ও অর্থনীতির অধ্যাপক।