ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে আবারও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে তৃতীয় দিনের মাথায় তিনবার ককটেল বিস্ফারণের ঘটনা ঘটলো।
রোববার বিকাল সাড়ে ৫টায় মধুর ক্যান্টিনের সামনে বিকট শব্দে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় এবং গত বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের একই স্থানে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
তিন ঘটনাতেই কোন হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও ভবিষ্যতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করেছেন শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে ‘সন্ত্রাস বিরোধী ছাত্র ঐক্য’ এর নেতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি আবু রায়হান খান চ্যানেল আই অনলাইন-কে বলেন: ‘আমরা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে নতুন জোট গঠন করার পর একটি মহল ক্যাম্পাসে আতঙ্ক ছড়ানোর লক্ষ্যেই লাগাতার ককটেল বিস্ফোরণ করছে। যতই আতঙ্ক ছড়ানো হোক না কেন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে।’
‘সন্ত্রাস বিরোধী ছাত্র ঐক্য’ এর এই নেতা মনে করেন, যারা সব সময় শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করে, নিকট অতীতে যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত তারাই এমন ঘটনা ঘটাচ্ছে। তবে তিনি কোন ছাত্র সংগঠনের নাম উল্লেখ করেননি।
পরপর ককটেল বিস্ফোরণের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী বলেন: কিছু সন্ত্রাসী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শত্রু, ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার জন্য এগুলো করে যাচ্ছে। আমরা আমাদের মতো কাজ করে যাচ্ছি।
এ ধরনের ঘটনায় কারা জড়িত থাকতে পারে জানতে চাইলে প্রক্টর বলেন: ‘ক্যাম্পাসে ভূঁই ফোড় কিছু সংগঠন তৈরি হয়েছে যাদের কোন রাজনৈতিক আদর্শ নেই। যে কোন বিষয়ে ক্যাম্পাসে দাঙ্গা ফ্যাসাদ, সন্ত্রাস করার চেষ্টা করে। তাদের কে সন্দেহের বাইরে রাখা যাচ্ছে না।’
তিনি আরো বলেন: ‘শুনলাম ক্যাম্পাসে একটি সংগঠনের কমিটি দেওয়া হয়েছে তারা যদি রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করে তাহলে বলবো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি করার অধিকার তারা নিজেরাই নষ্ট করবে।
অতীতে যারা এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করতো, তারাই এ ধরনের কাজ করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।