বেসরকারিখাতে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলপিজি) দাম ৬৪ টাকা কমানো হয়েছে। ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের নতুন মূল্য ৮৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে নতুন দর কার্যকর হবে।
সোমবার এক ভার্চুয়াল সভায় এই দর নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
বিশ্ববাজারে দাম কমায় দেশে ভোক্তাপর্যায়ে এলপিজির মূল্য দ্বিতীয়বারের মতো সমন্বয় করেছে বিইআরসি। এতদিন ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ছিল ৯০৬ টাকা।
গত ১২ এপ্রিল দেশে প্রথমবারের মতো এলপিজির দাম নির্ধারণ করেছিলে বিইআরসি। তখন ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ধরা হয়েছিল ৯৭৫ টাকা। ওই সময় বলা হয়েছিল, বিশ্ববাজারের সঙ্গে মিল রেখে প্রতি মাসে দাম সমন্বয় করা হবে। এর পর গত ২৯ এপ্রিল একদফা দাম সমন্বয় করে ৯০৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
তবে উৎপাদন পর্যায়ে ব্যয় পরিবর্তন না হওয়ায় রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানির এলপিজির দাম পরিবর্তন করা হয়নি। সরকারি সাড়ে ১২ কেজি এলপিজির দাম আগের মতই ৫৯১ টাকাই থাকছে। আর গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজির নতুন দাম প্রতি লিটার ৪১ টাকা ৭৪ পয়সা। আগে এটি ছিল ৪৪ টাকা ৭০ পয়সা।
জানা গেছে, এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। প্রতি মাসে এলপিজির এই দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরামকো। এটি কার্গো মূল্য (সিপি) বা সৌদি সিপি নামে পরিচিত। এই সৌদি সিপিকে ভিত্তি মূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করেছে বিইআরসি। চার মাস ধরে বিশ্ববাজারে এলপিজির দাম কমছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিইআরসির চেয়ারম্যান আবদুল জলিল বলেন, সৌদি সিপি, ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় হার ও ব্যাংকিং হারে পরিবর্তন বিবেচনা করে দাম সমন্বয় করা হয়েছে।
নতুন দাম কার্যকর করার বিষয়ে তিনি বলেন, যে কেউ নির্ধারিত দামের চেয়ে কম দামে বিক্রি করতে পারবে। কিন্তু বেশি দামে বিক্রি করা যাবে না। কমিশনঘোষিত মূল্যহার বাস্তবায়নে স্থানীয় প্রশাসন যাতে ভূমিকা রাখতে পারে, সে জন্য বাণিজ্য সচিব ও জ্বালানি সচিবকে চিঠি দেয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিইআরসির সচিব রুবিনা ফেরদৌসী, সদস্য মোহম্মদ আবু ফারুক, মকবুল ই ইলাহি চৌধুরী, মোহাম্মদ বজলুর রহমান, মো. কামরুজ্জামান প্রমুখ।