করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন কয়েকজন প্রবাসী বাংলাদেশী। বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে সৌদি আরবে এপর্যন্ত ৩২৯ জন মৃত্যুবরণ করেছে। স্থানীয় দূতাবাস ও কনস্যুলেট এর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী মৃতদের মধ্যে ১১১ জন প্রবাসী বাংলাদেশি রয়েছে।
করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণকারী প্রবাসীদেরকে স্থানীয়ভাবে দাফন করা হচ্ছে। উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণকারী বেশিরভাগ প্রবাসীর দাফন কালে পাশে নেই কোন নিকটাত্মীয় বা শেষবারের মতো দেখার মতো আপনজন কেউ নেই সেখানে।
সম্প্রতি করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশী মুকতার আহমদ, পিতা নূর মোহাম্মদ উপজেলা চকরিয়া জেলা কক্সবাজার এবং আরেকজন হচ্ছেন মোহাম্মদ তারেক, পিতা রমজান আলী, বোয়ালখালী কক্সবাজার। সাথে আরো অজ্ঞাত পরিচয় একজন।
করোনা সংক্রমনের ভয়ে কেউ দাফন করার জন্য কাছে যাচ্ছিল না, কিন্তু সব কিছুকে উপেক্ষা করে পাশে দাঁড়িয়েছেন কয়েকজন প্রবাসী বাংলাদেশি। তাদের মধ্যে অন্যতম ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিন, মক্কা আওয়ামী ফাউন্ডেশন এর সাধারণ সম্পাদক রাশেদুর রহমান, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সোলায়মান সামির, প্রকাশনা সম্পাদক মোহাম্মদ নাসির এবং লিটন।
স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মীদের সহায়তায় ইসলাম ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী তাদের লাশ মক্কার স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়
এসব মৃত্যুবরণকারী প্রবাসীদের কে দাফন কাফনের ব্যবস্থা করবে বা কিভাবে হচ্ছে তাদের দাফন, তা নিয়ে কোনো নিয়মনীতি মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। আত্মীয়-স্বজনের অনুমতি, কনস্যুলেট অথবা দূতাবাস থেকে প্রত্যায়ন পত্র সংগ্রহ, বিশেষ করে সৌদি আরব জুড়ে কারফিউ লকডাউন এরমধ্যে দাফন করা কি যে কঠিন, তা বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সেভাবে দেখা হচ্ছে না বলেও উল্লেখ করেন স্থানীয়রা।
এ পর্যন্ত যেসব প্রবাসী কারোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের বেশিরভাগেরই দাফন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সৌদি আরবে করোনা উপসর্গ নিয়ে যেসব প্রবাসীরা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের বেশীরভাগেরই হচ্ছে মক্কা ,মদিনা অথবা জেদ্দা অঞ্চলের।
মক্কার বেশিরভাগ মৃত্যুবরণকারী প্রবাসীদের দাফনের ব্যবস্থা করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী এবং বন্ধুরা।