আসন্ন গ্রীষ্মে আন্তর্জাতিক চ্যাম্পিয়ন্স কাপে যুক্তরাষ্ট্রে কোনো ম্যাচ খেলবে না জুভেন্টাস। মার্কিন দৈনিক নিউ ইয়র্ক টাইমস অন্তত এমনটাই জানাচ্ছে। আর এর পেছনের কারণ দলের সেরা তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।
প্রাক-মৌসুম প্রতিযোগিতায় নিজেদের খেলার ব্যাপারে এরই মধ্যে নিশ্চিত করেছে জুভেন্টাস। কিন্তু নিউ ইয়র্ক টাইমস বলছে, ইভেন্ট আয়োজকরা এটা নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, জুভদের কোনো ম্যাচ যাতে যুক্তরাষ্ট্রে না হয়। কারণ, ধর্ষণের অভিযোগে সেখানে রোনালদোর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। ফলে সিআর সেভেনের গ্রেপ্তার এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তার ক্লাব।
এর ফলে আন্তর্জাতিক চ্যাম্পিয়ন্স কাপে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও টটেনহ্যাম হটস্পারের বিপক্ষে ম্যাচ দুটি সিংগাপুর ও চীনে খেলবে জুভেন্টাস। আর এ বিষয়ে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ঘোষণা করবে ক্লাব।
২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসের হোটেলে ক্যাথরিন মায়োরগা নামে এক মহিলাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠে সিআর সেভেনের বিরুদ্ধে।
যা নিয়ে বিপাকে আছেন পর্তুগিজ সুপারস্টার। তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে তদন্ত চলছে। সাক্ষ্য-প্রমাণের সঙ্গে তদন্ত কাজে রোনালদোর কাছে তার ডিএনএ নমুনাও চাওয়া হয়েছে।
মডেলের দাবি, ২০০৯ সালে লাস ভেগাসের একটি অ্যাপার্টমেন্টে তাকে নিয়ে যান রোনালদো। মায়োরগা যখন পোশাক বদলাচ্ছিলেন তখন পিছন থেকে হঠাৎ জাপটে ধরেন সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ তারকা।
মায়োরগার আরও দাবি, বারবার তিনি আপত্তি জানিয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও জোর করে সঙ্গম করেন সিআর সেভেন। মার্কিন মডেল আদালতে যে নথি পেশ করেছিলেন সেই নথি অনুযায়ী, ধর্ষণের পর নাকি তার কাছে ক্ষমাও চেয়েছিলেন রোনালদো।
ওই নারীর দাবি, এরপর রোনালদোর চোখেমুখে অপরাধবোধ ফুটে উঠেছিল। বারবার ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলেন। এমনকি নতজানু হয়ে ঘটনা প্রকাশ্যে না আনার জন্য অনুরোধও করেন। অভিযোগ দাখিলের পর রোনালদোর পক্ষ থেকে আপোষের প্রস্তাব আসে। পৌনে ৪ লাখ ডলারের আপোষ হয়। কিন্তু ৯ বছর পর সম্প্রতি ‘মি টু’ আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ হয়ে সেই আপোষ ভেঙে ফেলেছেন মায়োরগা।
ক্যাথরিনের দাবি, সেসময় শারীরিক সম্পর্কের জন্য মোটা অঙ্কের অর্থ দিয়েছিলেন রোনালদো। সেসময় ওই মডেলের সঙ্গে রোনালদোর বেশকিছু ছবিও ভাইরাল হয়। তবে রোনালদো ও তার আইনজীবী ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।