চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

ভয়াবহ ‘সেচ ও খাবার পানি’র সংকটে উত্তরাঞ্চলের মানুষ

আশঙ্কাজনক হারে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় সেচ ও খাবার পানির সংকটে পড়েছে রংপুরসহ গোটা উত্তরাঞ্চলের মানুষ। অপরিকল্পিত সেচের কারণেই এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

চলতি মৌসুমে রংপুর অঞ্চলে ৫ লাখ ১ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে। সেচ নির্ভর বোরো আবাদে জমি চাষ থেকে শুরু করে, ধান পুষ্ট হওয়া পর্যন্ত ১৫-২০ বার সেচ দিতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে কৃষককে। সে সঙ্গে ছিলো দুর্ভোগ ও অনিশ্চয়তা।

স্থানীয় কৃষকরা বলেন, তারা যেভাবে পানি সংকটে পড়ছে তাতে ভবিষ্যতে তাদের জন্য চাষাবাদ করা কঠিন হয়ে যাবে। পানির স্তর অনেক নিচে বলে তাদের মোটর পুড়ে যাচ্ছে।

রংপুরের বদরগঞ্জ, তারাগঞ্জ উপজেলাসহ অন্যান্য উপজেলাতেও পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। ৮ থেকে ১০ ফুট গভীর খাল করে মটর বসিয়ে সেচ দিতে হচ্ছে কৃষককে। বসতবাড়ির নলকূপগুলোতে পানি উঠছে না।

কৃষকরা আরো জানান, তারা মাটি খুঁড়ে ৬ থেকে ৮ ফুট পর্যন্ত গর্ত করেছেন। আগে তারা ওপর থেকে পানি সেচ দিতেন। এখন বিভিন্ন গভীর নলকূপ দিয়ে তারা পানি ওপরে টানেন, এরফলে ছোট ছোট মোটরগুলোর খুব ক্ষতি হয়ে যায়।

সেচ সমস্যা থেকে উত্তরণে তুলনামূলক কম পানির ব্যবহার করে ফসল চাষাবাদ ও এ অঞ্চলে বিকল্প ফসল বিন্যাসের উদ্যোগের কথা জানিয়েছেন কৃষি বিভাগ।

রংপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জুলফিকার হায়দার বলেন, বোরো আবাদ কমিয়ে দিয়ে কীভাবে কৃষক কম পানি ব্যবহার করে অন্য ফসল আবাদ করতে পারেন, সেজন্য মন্ত্রণালয় থেকে তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এখন যেসব ফসলে পানি কম লাগে সেসব ফসল চাষে কৃষকদের উৎসাহী করছেন তারা।