ভারতের বিহার রাজ্যে তীব্র তাপদাহে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬১ জনে দাঁড়িয়েছে। শুধু শনিবার মধ্যরাত পর্যন্তই সেখানে ৪৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। রোববার সারাদিনে মারা গেছে আরও ১৭ জন।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, মূলত বিহারের আওরঙ্গবাদ, গয়া এবং নওয়াদা জেলায় মৃত্যুর ঘটনাগুলো ঘটছে। রোববারের ১৭ জনের মৃত্যুর খবরও এসেছে এই তিন জেলা থেকেই।
তীব্র গরমে শনিবার থেকে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৬১ জনের মধ্যে আওরঙ্গবাদে ৩০ জন, গয়ায় ২০ জন এবং নওয়াদায় ১১ জন। রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান সচিব প্রত্যয় অমৃত এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মৃতদের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ হিসেবে হিটস্ট্রোকের বিষয়টিই নিশ্চিত হওয়া গেছে। ‘আমরা ইতোমধ্যে সব জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে সতর্কতামূলক নির্দেশনা পাঠিয়েছি,’ বলেন তিনি।
গয়ার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অভিষেক সিং জানান, এ পর্যন্ত হিটস্ট্রোকের শিকার যাদেরকেই জেলার অনুরাগ নারায়ণ মগধ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল তাদের বেশিরভাগই হয় হাসপাতালে নেয়ার পথেই মারা গেছে অথবা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে।
বর্তমানে সরকারি হাসপাতালটিতে ১৪ জন রোগী তীব্র তাপমাত্রাজনিত অসুস্থতায় চিকিৎসাধীন আছে বলে জানিয়েছেন অভিষেক সিং।
এই জেলা ম্যাজিস্ট্রেট টাইমস অব ইন্ডিয়াকে আরও জানান, প্রাণ হারানোদের অধিকাংশই ষাটোর্ধ্ব বয়সের, যারা দক্ষিণ-পশ্চিম বিহারের ওপর দিয়ে বয়ে চলা তীব্র তাপপ্রবাহ সহ্য করতে পারেননি।
এনডিটিভি জানায়, হিটস্ট্রোকে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আওরঙ্গবাদের একটি সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সুরেন্দ্র প্রসাদ সিং।
হিটস্ট্রোকের রোগী ক্রমাগত বাড়তে থাকায় অনুরাগ নারায়ণে পাটনা থেকে ৪ জন অভিজ্ঞ চিকিৎসকও পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার।
প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো নির্দেশ দেয়া হয়েছে যেন তারা অন্তত তাদের ৫০ শতাংশ বেড হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীদের জন্য খালি রাখে। এছাড়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট হাসপাতালগুলোতে অবস্থানের জন্য জেলা কর্মকর্তাদের ওপর নির্দেশনা রয়েছে।