চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

প্রস্তাবিত ভ্যাট আবাসন শিল্প ধ্বংসে ‘শেষ পেরেক’

২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট অনুযায়ী ফ্ল্যাট বেচাকেনায় ১৫ শতাংশ ভ্যাট কার্যকর করা হলে তা হবে আবাসন খাতের কফিনে শেষ পেরেক মারা। কারণ এর ফলে আবাসন শিল্প মুখ থুবড়ে পড়বে।

রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে শনিবার বিকেলে আবাসন খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (রিহ্যাব) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সংগঠনের নেতারা।

রিহ্যাবের সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন বলেন, সরকার সাধারণ মানুষের প্রয়োজনীয় আবাসন শিল্পের ওপর এতো কর আরোপ করবে বলে বিশ্বাস হয় না। আমরা আশা করি অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী ভ্যাট হার পুনর্বিবেচনা করবেন।

প্রস্তাবিত বাজেট অনুযায়ী ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট বৃদ্ধি পেলে আবাসন ব্যয় দশ গুণ বেড়ে যাবে মন্তব্য করে রিহ্যাব সভাপতি বলেন, এই হার প্রয়োগ করা হলে সার্বিকভাবে নিমার্ণের পাঁচটি উপাদান রড, সিমেন্ট, ইট, পাথর ও বালির দাম বাড়বে। এতে ৩৫ লাখ শ্রমিকের উপর নির্ভরশীল ২ কোটি লোকের আয়ের এ খাতটি মুখ থুবড়ে পড়বে। তাই প্রস্তাবিত ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানাই।

প্রস্তাবিত বাজেট আবাসনবান্ধব নয় বলে মন্তব্য করে সংগঠনটির সিনিয়র সহসভাপতি সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন বলেন, সরকারের অংশ নয়, একজন আবাসন ব্যবসায়ী হিসেবে বলছি প্রস্তাবিত বাজেট আবাসনবান্ধব নয়। প্রস্তাব অনুযায়ী আবাসন সংশ্লিষ্ট প্রতিটি উপকরণে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট বাড়বে। আর এটা বাস্তবায়ন হলে এই শিল্প ধ্বংসে শেষ পেরেক মারা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বর্তমানে ফ্ল্যাট রে‌জি‌স্ট্রেশন ব্যয় ১৪ শতাংশ থেকে ১৬ শতাংশের বেশি হওয়ায় ফ্ল্যাট ও জমির বেচাকেনা মারাত্মকভাবে কমে গেছে।

বর্তমানে ফ্ল্যাটের উপর ভ্যাট রয়েছে ১ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ পর্যন্ত। গড়ে যা ৩ শতাংশ। প্রস্তাবিত বাজেট অনুযায়ী এটা হবে ১৫ শতাংশ।

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, আবাসনের অন্যতম কাঁচামাল এমএস রড। বর্তমানে প্রতি টন রডে সব মিলিয়ে ৯০০ টাকা ভ্যাট দিতে হয়। নতুন আইনের ফলে ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে। এ হিসেবে বর্তমান বাজার মূল্য অনুযায়ী এক টন রডে ভ্যাট হবে সাড়ে ৭ হাজার টাকা। বাজেটে ফ্ল্যাই অ্যাশ আমদানিতেও ১০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক বসানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া বোল্ডার স্টোন ও স্যান্ড স্টোন- এই দুই ধরনের পাথর আমদানিতে যথাক্রমে ১৫ ও ২০ শতাংশ নিয়ন্ত্রক শুল্ক দিতে হবে।অতিরিক্ত ভ্যাট ও শুল্ক আরোপের ফলে আবাসন শিল্প ভয়াবহ খারাপ অবস্থার মধ্যে পড়বে বলে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রিহ্যাবের প্রথম সহ সভাপতি লিয়াকত আলী ভূঁইয়া ও পরিচালক আল আমিন প্রমুখ।