চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

‘ভ্যাকসিন হিরো’ পুরস্কার পেলেন প্রধানমন্ত্রী

টিকাদান কর্মসূচির সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘ভ্যাকসিন হিরো‘ পুরস্কার দিয়েছে গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনেশন অ্যান্ড ইমুনাইজেশন-জিএভিআই।

শিশুদের রোগমুক্ত রাখায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানে বাংলাদেশের অসামান্য সাফল্যের স্বীকৃতিতে এ পুরস্কার দেয়া হয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশকে পোলিও মুক্ত রাখায় পুরস্কারটি পেলেন প্রধানমন্ত্রী।

নিউইয়র্কে অবস্থানরত শেখ হাসিনা সোমবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জিএভিআই’র বোর্ড চেয়ার ড. গোজি ওকোনজো-ইউয়িয়ালার কাছ থেকে মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কার গ্রহণ করেন। পুরস্কারটি গ্রহণ করেই প্রধানমন্ত্রী সেটি দেশবাসীকে উৎসর্গ করেন।

তিনি বলেন, ভ্যাক্সিনেশনের জন্য বাংলাদেশের কঠোর পরিশ্রম আজ বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সুস্থ ও নতুন প্রজন্ম দরকার।

শেখ হাসিনা বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা নিয়ে সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা অধীনে ইমুনাইজেশনে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, ২০৩০ সালের অনেক আগেই বাংলাদেশে সকলের জন্য ভ্যাকসিন এর লক্ষ্যমাত্রা পৌঁছানো সম্ভব হবে। ইমুনাইজেশনকে স্বাস্থ্য খাতে সরকারিভাবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সাফল্যগাঁথা হিসেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী এক্ষেত্রে গ্লোবাল ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স এবং অন্যান্য অংশীদারদেরকে তাদের অব্যাহত সমর্থন ও অবদানের জন্য ধন্যবাদ জানান।

শেখ হাসিনা সকল পর্যায়ে অন্যান্য প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবার সঙ্গে ইমুনাইজেশনকে সমন্বিত করতে সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের বর্ণনা দেন।

রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে বিরাট ঝুঁকি: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের কক্সবাজারে মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাখাইন থেকে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে বিরাট ঝুঁকি তৈরি করেছে।

তিনি বলেন, ২ দফা রুটিন ভ্যাক্সিনেশন ও ইমুনাইজেশনের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ব্যাপক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এছাড়া অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে ডিপথেরিয়া, কলেরা এবং এ ধরনের রোগ যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেই লক্ষ্যে সফলভাবে ভ্যাক্সিনেশন পরিচালনা করা হয় বলেও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিএভিআই’র সর্বশেষ জরুরী এবং শরণার্থী নীতিমালা অনুযায়ী ২০১৭ সালে কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের জন্য ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হয়। তিনি আবারও জোর দিয়ে বলেন, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত করতে জনগণের প্রতি তার সরকার সর্বদাই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এ প্রসঙ্গে তিনি রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয় জানিয়ে বলেন, তার সরকার সবার মৌলিক স্বাস্থ্য ও পর্যাপ্ত পুষ্টি নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে।