দেশে করোনা ভ্যাকসিন কর্মসূচি শুরুর পর থেকে আজ পর্যন্ত মোট ২৮ লাখ ৫০ হাজার ৯৪০ জন ভ্যাকসিন নিয়েছেন। এর মধ্যে পুরুষ ১৮ লাখ ৫৬ হাজার ২৬৫ এবং নয় লাখ ৯৪ হাজার ৬৭৫ জন নারী ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সী অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের (এমআইএস) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ ১৭তম দিনে সারাদেশে এক লাখ ৮১ হাজার ৪৩৯ জন ভ্যাকসিন নেন।এরমধ্যে পুরুষ এক লাখ ১২ হাজার ৪৮৯ ও নারী ৬৮ হাজার ৯৫০ জন।
ঢাকা মহানগরীতে ভ্যাকসিন নিয়েছেন ৩০ হাজার ৩৫১ জন। এরমধ্যে পুরুষ ১৯ হাজার ৮৬৪ জন ও নারী ১০ হাজার ৪৮৭ জন ভ্যাকসিন নেন।
ঢাকা বিভাগে ভ্যাকসিন নিয়েছেন ৬৩ হাজার ২৪৪ জন। এরমধ্যে পুরুষ ৪০ হাজার ৭১০ জন ও নারী ২২ হাজার ৫৩৪ জন ভ্যাকসিন নেন। এছাড়াও ময়মনসিংহ বিভাগে সাত হাজার ২৩৩ জন ভ্যাকসিন নেন; যার মধ্যে পুরুষ চার হাজার ৩৫২ ও নারী দুই হাজার ৮৮১ জন।
চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৩ হাজার ৮৬৭ জন ভ্যাকসিন নেন; যার মধ্যে পুরুষ ২১ হাজার ৯২ জন ও নারী ১২ হাজার ৭৭৫ জন ভ্যাকসিন নেন।
রাজশাহী বিভাগে ১৮ হাজার ২১৬ জন ভ্যাকসিন নেন; যার মধ্যে পুরুষ ১০ হাজার ৭৭১ জন ও নারী সাত হাজার ৪৪৫ জন।
রংপুর বিভাগে ১৬ হাজার ৭০১ জন ভ্যাকসিন নেন; যার মধ্যে পুরুষ ১০ হাজার ১৫৮ জন ও নারী ছয় হাজার ৫৪৩ জন। খুলনা বিভাগে ২৬ হাজার ১৮৬ জন ভ্যাকসিন নেন; যার মধ্যে পুরুষ ১৫ হাজার ৫৩৭ ও নারী ১০ হাজার ৬৪৯ জন।
বরিশাল বিভাগে আট হাজার ৫১ জন ভ্যাকসিন নেন; যার মধ্যে পুরুষ পাঁচ হাজার জন ও নারী তিন হাজার ৫১ জন এবং সিলেট বিভাগে সাত হাজার ৯৪১ জন ভ্যাকসিন নেন; যার মধ্যে পুরুষ চার হাজার ৮৬৯ জন ও নারী তিন হাজার ৭২।
রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালসহ সারা দেশের এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে কোভিড-১৯ টিকা দেয়া হচ্ছে। টিকাদানের প্রথম দিন মোট ৩১ হাজার ১৬০ জনকে টিকা দেয়া হয় বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছিল।
বর্তমানে বাংলাদেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ৭০ লাখ ডোজ রয়েছে এবং করোনার টিকা নিতে চাইলে www.surokkha.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে।
গত ২৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। সে সময় দুই দিনে মোট ৫৬৭ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।
বাংলাদেশে এই ভ্যাকসিন পরীক্ষামূলক প্রয়োগ না হওয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল অনুযায়ী তাদের এক সপ্তাহ পর্যবেক্ষণ করা হয়। কারও মধ্যে গুরুতর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা না দেওয়ায় পরিকল্পনা মত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে গণ ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হয়।