চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ভ্যাকসিনের পর আরেক সাফল্য

করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ যখন সারাবিশ্বকে প্রায় থমকে দিয়েছে, যার প্রভাবে বদলে গেছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা; তখন দেখা যাচ্ছে এই ভাইরাসে আক্রান্তদের সেরে উঠার সংখ্যা বাড়ছে। পরিসংখ্যান বলছে, মোট আক্রান্তের অর্ধেকেরও বেশি রোগী সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছে।

রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত ওয়ার্ল্ডোমিটারের দেয়া তথ্যে দেখা যাচ্ছে. বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ শনাক্ত হওয়া মোট রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৬২ লাখ ৬১ হাজার ১১৪ জন। যাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছে ৯৯ লাখ ৫২ হাজার ১৭২ জন। এর সঙ্গে মৃত্যু হওয়া ৬ লাখ ৪৯ হাজার ৪৫৬ জন যোগ করলে সংখ্যাাটা ১ কোটি ৬ লাখ ছাড়িয়ে যায়। তার মানে এখন অ্যাকটিভ কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ৫৬ লাখ ৫৯ হাজার ৪৮৬ জন।

সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও একইভাবে কোভিড-১৯ রোগীর সুস্থতার হার বাড়ছে। ওয়ার্ল্ডোমিটার বলছে, বাংলাদেশে রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত মোট আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ২ লাখ ২৩ হাজার ৪৫৩ জন। যাদের মধ্যে আবার সেরে উঠেছে ১ লাখ ২৩ হাজার ৮৮২ জন। এই হিসাবে বর্তমানে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ৯৬ হাজার ৬৪৩ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৯২৪ জনের।

কোভিড-১৯ থেকে সেরে উঠা রোগীদের এই সংখ্যা আর ভাইরাসটির বিরুদ্ধে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকদের তৈরি করা ভ্যাকসিনের সাফল্য পুরো বিশ্বকে গভীর এক অন্ধকার থেকে আলোর পথ দেখাচ্ছে। বাস্তবতা হলো, করোনাভাইরাসকে পরাজিত করা মানুষের কাছে এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। আরও স্পষ্ট করে বললে, অবশ্যম্ভাবী এক জয় উদযাপনের মঞ্চটাই শুধু সাজানো বাকি।

তবে সেই উদযাপনের আগেই হেয়ালর স্রোতে গা ভাসালে চলবে না। পৃথিবীতে একজন কোভিড-১৯ রোগী থাকা পর্যন্ত মানুষকে সাবধানে থাকতেই হবে। ভুলে গেলে চলবে না, চীনের উহান শহরের একজন মানুষের কাছ থেকেই ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে প্রায় পুরো বিশ্বে। এখনও দিনে প্রায় আড়াই লাখ মানুষের শরীরে শনাক্ত হচ্ছে এই প্রাণঘাতী ভাইরাস।

করোনার এমন ভয়াবহতা দেখার পরও অনেকের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এমন মানুষ আমাদের দেশেও যেমন আছে, অন্য বিশ্বের দেশগুলোতেও আছে। শত উদ্যোগেও তাদেরকে সচেতন করা যাচ্ছে না। তবে সংখ্যায় কম হলেও তাদের কারণে লড়াইটা আজ কঠিন থেকে কঠিনতর হয়েছে।

আমরা মনে করি, মানুষ সচেতন হয়েছে বলেই কোভিড-১৯ রোগীদের সুস্থতার হার বেড়েছে। প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধেই বেশ গুরুত্ব দিতে হবে।