প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে পাকিস্তান বিষয়ে কড়া কড়া মন্তব্য করলেও নির্বাচিত হয়েই ভোল পাল্টেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। জয়ের পর তাকে তাৎক্ষণিক অভিনন্দন জানিয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ।
পরে বিতর্কিত এই মার্কিন নেতাকে ফোনও করেছিলেন শরিফ। বুধবার পাক প্রধানমন্ত্রীর ফোনের জবাবে তার প্রশংসার পাশাপাশি সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন সদ্য নির্বাচিত এ প্রেসিডেন্ট।
দু’জনের ফোনালাপের খবর দিয়েছে মার্কিন ক্যাবল নেটওয়ার্ক সিএনএন। এক বিবৃতিতে ফােনালাপের কথা জানিয়েছে ইসলামাবাদও।
ওই বিবৃতিতে জানানো হয়, শরিফকে ট্রাম্প বলেছেন,‘আপনাদের সবরকমভাবে সাহায্য করতে ইচ্ছুক আমি। দীর্ঘদিনের অমীমাংসীত সমস্যাগুলি সমাধানের পথ খুঁজতে হবে। এ ব্যাপারে ব্যক্তিগতভাবে উদ্যোগ নেবো। যখন ইচ্ছে আমাকে ফোন করুন। ২০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে হোয়াইট হাউসের দায়িত্ব নিচ্ছি। তবে প্রয়োজন পড়লে তার আগেও ফোন করতে পারেন।’
সিএনএন জানায়, ফোনে নওয়াজ শরিফের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ট্রাম্প। তিনি দ্রুতই শরিফের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান বলেও জানায় চ্যানেলটি।
এ সময় ট্রাম্প শরীফকে বলেছেন, ‘আপনি একজন অসাধারণ মানুষ। প্রতিটা ক্ষেতে আপনি চমৎকার কাজ করছেন। আমি দ্রুতই আপনার সাথে দেখা করবো এবং কথা বলবো প্রধানমন্ত্রী। আপনার সাথে বলে এমন মনে হচ্ছে যেন আপনি অনেকদিনের চেনা কেউ।’
ট্রাম্পকে পাকিস্তান সফরের প্রস্তাব দিয়েছেন নওয়াজ শরিফ। তাতে রাজি হয়েছেন ট্রাম্প।
৮ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়ার আগে থেকেই ভারত–পাকিস্তান দ্বন্দ্ব নিয়ে কথা বলতে শোনা গেছে ট্রাম্পকে। ক্ষমতায় এলে দুই দেশের মধ্যস্থতায় সাহায্য করবেন বলে জানিয়েছিলেন।
তবে পাকিস্তানের ব্যাপারে আগে বেশ কড়া মন্তব্যেই করেছেন ট্রাম্প। মার্কিন নেভিসিলের অভিযানে পাকিস্তানের ভেতরেই আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন নিহত হওয়ার পর ২০১১ সালের ৭ ডিসেম্বর টুইটারে বলেছিলেন, ‘সরাসরি বলছি, পাকিস্তান আমাদের বন্ধু নয়।’
এরপর ২০১২ সালের ৬ জুলাই আরেক টুইটে বলেন, ‘মিত্র হতে হলে লাদেনকে নিরাপদ আশ্রয় দেয়ায় পাকিস্তানকে আমাদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।’