ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আসা পেঁয়াজের ৬০ ভাগই নষ্ট হওয়ায় নতুন করে আর কোনো ট্রাক প্রবেশ করেনি। এমন প্রেক্ষাপটে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি দুই দেশের সরকারকে সহযোগী মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আহবান জানিয়েছেন আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর ভারতীয় ফরেন ট্রেড এর এক চিঠিতে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। ১৮ সেপ্টেম্বর ওই ফরেন ট্রেড এর আরেক চিঠিতে শর্তসাপেক্ষে ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি হবে বলে ভারতীয় সিএন্ডএফ সূত্রে জানানো হয়। সেই অনুযায়ী শনিবার ৩১ ট্রাক পেয়াজ প্রবেশও করে। কিন্তু সেসব পেয়াজের বেশীরভাগই নষ্ট।
ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম বলেন: ব্যবসায়ী ও আমদানীকারকরা বারবার করে অনুরোধ করে আসছিল। আটকে পড়া পেঁয়াজ পাওয়ার নৈতিক অধিকার রয়েছে আমদানীকারকদের। কিন্তু সেই দেবে বলেও দিলো না। আর যা দিল তার ৬০ ভাগই নষ্ট হয়ে গেছে।
তিনি বলেন: পেঁয়াজ দ্রুত পচনশীল, এখনও ভারত চাইলে বাকি আটকে পড়া পেঁয়াজগুলো দিতে পারে। না হলে সেগুলো পরে দিলে শতভাগই নষ্ট হয়ে যাবে। যা কোন কাজে আসবে না।
গত বছরের পেয়াজ রপ্তানি বন্ধ, করোনা মহামারী এরপর ফের বিনা নোটিশে পেঁয়াজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশের ব্যবসায়ীরা চূড়ান্তভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে এখন হতাশ হয়ে পড়েছেন।