দিনাজপুরের হিলির পর সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়েও পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। আজ ২৫ থেকে ৩২ ট্রাক পেয়াঁজ আমদানি হবে। প্রতি ট্রাকে ২২ থেকে ২৫ টন পেয়াজ আমদানি হবে বলে জানিয়েছেন ভোমরা সিএন্ডএফ নেতারা।
শনিবার ভারতীয় সিএন্ডএফ সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর ভারতীয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ফরেন ট্রেড এর এক চিঠিতে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। গতকাল ১৮ সেপ্টেম্বর ওই ফরেন ট্রেড এর অপর এক চিঠিতে শর্তসাপেক্ষে আজ থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি হবে বলে ভারতীয় সিএন্ডএফ সূত্রে জানানো হয়েছে।
এদিকে ব্যবসায়ীরা শঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের পার হয়ে মহারাষ্ট্রের নাসিক থেকে এই পেঁয়াজ ভোমরা বন্দরে আসতে পথেই সময় লাগে পাঁচ ছয় দিন। তার উপর গত পাঁচ দিন যাবত ভারতের ঘোজাডাঙ্গা বন্দরে আমদানির অপেক্ষায় আটকে রয়েছে ৫ শতাধিক ট্রাক, যা ১০/ ১১ দিনে অর্ধেকই পচে যেতে পারে।
ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাছিম বলেন, ১৪ সেপ্টেম্বর হঠাৎ করে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণার পর এই পাঁচদিনে অনেক ব্যবসায়ী ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে। এই পাঁচদিনে আটকে পড়া পেঁয়াজের বেশির ভাগ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সরকারের কাছে দাবি ভারতের সাথে যাতে এমন বাণিজ্যিক চুক্তি করা হয় যাতে কাঁচামাল আমদানি বন্ধের ক্ষেত্রে হঠাৎ সিদ্ধান্ত না নিয়ে রপ্তানি বন্ধের আগে এ ঘোষণা জানিয়ে দেয়ার বিধান রাখা হয়। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের দাবি, ভারত পারে আটকে থাকা খাওয়ার উপযোগী সব পেয়াজভর্তি ট্রাক ছাড় দেবে ভারত সরকার।
শনিবার বিকেল সোয়া ৩টায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ বোঝাই ৩টি ট্রাক প্রবেশ করে বাংলাদেশে, পরে পর্যায়ক্রমে আরও ৮টি। দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সহ-সভাপতি শাহিনুর রেজা শাহীন জানান, ভারতে গত ১৪ সেপ্টেম্বর সোমবার এলসি করা যেসব পেঁয়াজ ওপারে ট্রাকে আটকা পড়েছিল, তা বাংলাদেশে আজ শনিবার বিকেল থেকে পাঠানো শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত পাঠিয়েছে ১১ ট্রাক পেঁয়াজ। যা আনুমানিক ২৫০ মেট্রিক টন।
তিনি আরও জানিয়েছেন, দিনাজপুরের হিলি স্থল বন্দরের ওপাড়ে ভারতে আটকা পড়েছে প্রায় ৩ শতাধিক পেঁয়াজের ট্রাক। পচন ধরার আশংকায় বাংলাদেশি আমদানিকারকরা উদ্বিগ হয়ে পড়ে। আনুমানিক প্রায় ১০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আটকা পড়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি