নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন বটে, তবে হারিয়েছেন নিজের দাঁত। সাউথ-ওয়েস্ট জার্মানির মেয়র নির্বাচনে জয় লাভ করেছেন মার্টিন হম। সেই সাফল্যই উদযাপন করছিলেন তিনি। হঠাৎ এক লোক এসে তার মুখে আঘাত করে।
আক্রমণে ৩৩ বছর বয়সী স্বতন্ত্র প্রতিযোগী হর্নের নাক ভেঙে যায়, ভেঙে যায় একটি দাঁতও। আক্রমণের পরে হাসপাতালে চিকিৎসাও নিতে হয় তাকে।
এই ঘটনায় ৫৪ বছর বয়সী একজনকে আটক করা হয়। তবে আক্রমণটি রাজনৈতিক নয় বলে দাবি করা হয়েছে।
নির্বাচনে জয়ের পরে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমকে ইন্টারভিউ দেন হর্ন। তারপর প্রায় ৩০০ জন সমর্থকের সঙ্গে জয় উদযাপন করছিলেন তিনি। সেই সময়েই একজন এসে তার সঙ্গে সেলফি তুলতে চায়।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, হঠাতই ওখানে কিছু বিরোধ দেখা দেয়। সেই লোকটি মার্টিন হর্নের মুখে আঘাত করে। প্রাথমিক পুলিশ তদন্ত বলছে, হামলাটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয়। আক্রমণকারীর মানসিক অসুস্থতা রয়েছে।
ঘটনার পরই ফেসবুক লাইভে গিয়ে হর্ন তার সমর্থকদের আক্রমণের কারণে হতাশ না হওয়ার আহ্বান জানান। বলেন, আমার নাক ভেঙে গেছে, দুটি ছোট সেলাই নিতে হয়েছে আর একটি দাঁত ভেঙে গেছে। এই বলেই আবার নিজের জয় উদযাপনের পার্টিতে যোগ দেন তিনি।
পরাজিত সবুজ দলের প্রার্থী ডায়েটার সালোমন ওই এলাকায় ১৬ বছর টানা মেয়র ছিলো।
জার্মানির ইউনিভার্সিটি শহর ফ্রেইবার্গে জনসংখ্যার বেশিরভাগই তরুণ। এই এলাকায় হর্নের প্রচারণার বিষয় ছিলো সবার জন্য উন্নয়নের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাসস্থান সরবরাহ করা।
আক্রমণের ঘটনা শুনে খুবই বিষ্মিত হয়েছেন উল্লেখ করে বিদায়ী মেয়র তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।