ঢাকা ও চট্টগ্রামের তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগের দিন কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটের সরঞ্জাম পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
রাজধানীতে সকাল থেকে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের রিটার্নিং অফিসাররা প্রিসাইডিং অফিসারদের কাছে
ব্যালট পেপার, ব্যালট বাক্স, অমোচনীয় কালি এবং ভোটের অন্যান্য সরঞ্জাম
হস্তান্তর করেছেন।
পুলিশের নিরাপত্তায় প্রিসাইডিং অফিসাররা এসব
সরঞ্জাম কেন্দ্রে কেন্দ্রে নিয়ে যান। ভোটের সরঞ্জাম কেন্দ্রে নেওয়ার
পাশাপাশি ভোট কক্ষগুলোতে তৈরী করা হয়েছে বুথ।
ভোটের
সরঞ্জাম হস্তান্তরের সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং অফিসার
মিহির সারোয়ার মোরশেদ প্রিজাইডিং অফিসারদের কাজের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।
ভোট কেন্দ্রে যাতে কোন ধরণের বিশৃংখলা না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকার
নির্দেশ দেন। ভোট চলাকালে কোন অঘটন সম্পর্কেও তাদের সতর্ক থাকতে বলেন তিনি।
কোন বিশৃংখলার অভিযোগ পাওয়া গেলে প্রিজিাইডিং অফিসারদের বিরুদ্ধে
ব্যাবস্থা নেয়া হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন রিটারর্নিং অফিসার মিহির
সারোয়ার মোর্শেদ। ঢাকা দক্ষিণে ভোটার ১৮ লাখ ৭০ হাজার ৭৫৩ জন, উত্তরে ২৩
লাখ ৪৫ হাজার ৩৭৪ জন এবং চট্টগ্রামে ১৮ লাখ ১৩ হাজার ৪৪৯ জন।
মঙ্গলবার
নতুন মেয়র, সাধারণ কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে প্রার্থীদের মধ্য
থেকে ভোটাররা পছন্দের জনপ্রতিনিধিকে বেছে নেবেন। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা
পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে। ভোটারদের সুবিধার জন্য নির্বাচনী এলাকায়
সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
তিন
সিটিতে মেয়র পদে ৪৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ঢাকার
দুই সিটিতে ৩৬ এবং চট্টগ্রামে ১২ জন প্রার্থী রয়েছেন। মেয়র ও কাউন্সিলরসহ
মোট প্রার্থী সংখ্যা একহাজার ১৮০।
উত্তর সিটিতে ভোটকেন্দ্র ১ হাজার ৯৩টি, দক্ষিণে ভোটকেন্দ্র ৮শ ৮৯টি এবং চট্টগ্রামে ভোটকেন্দ্র ৭শ ১৯টি।
নির্বাচনী
কেন্দ্রে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে প্রিজাইডিং অফিসারদের সচেতন থাকতে
বলেছেন ঢাকা উত্তরের রিটার্নিং অফিসার মোঃ শাহ আলম।
কেন্দ্রে দায়িত্ব
পালনের সময় দলীয় পরিচয় দেয়ার সুযোগ নাই বলে মন্তব্য করেন তিনি।
নির্দলীয়
নির্বাচনে সকলকে সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালনে প্রিজাইডিং অফিসারদের প্রতি
আহ্বান জানিয়েছেন শাহ আলম।
সুষ্ঠু ভোট গ্রহণের জন্য সর্বোচ্চ
নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তিন সিটির ঝুঁকিপূর্ণ
কেন্দ্রগুলোতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি নিরাপত্তার দায়িত্বে
থাকবে র্যা ব এবং বিজিবি। প্রতি সিটিতে এক ব্যাটালিয়ন সেনা সদস্য ২৬
এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত নির্বাচনী দায়িত্বে থাকবেন। তিন সিটিতে ৮৪
জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে কাজ করবেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।