ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রাক-নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছে। টানা তৃতীয়বারের মতো দলকে ক্ষমতায় আনতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।মঙ্গলবার সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে আয়োজিত জনসভায় তিনি আওয়ামী লীগকে আবারো ভোট দিতে ভোটারদেরকে হাত তুলে ওয়াদাও করান। এ সময় সিলেটসহ সারাদেশে গত কয়েক বছরে করা সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশ পুরস্কৃত হয়, বিএনপি-জামায়াত লুটেরা, খুনি ও অগ্নিসন্ত্রাসীদের দল, তারা জানে শুধু ধ্বংস করতে। তারা ক্ষমতায় গেলে দেশ তিরস্কৃত হয়, দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়। শেখ হাসিনার নির্বাচনী জনসভার প্রথম বক্তব্য থেকে স্পষ্টই ধারণা পাওয়া গেছে, আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে আওয়ামী লীগ আগে থেকেই খুব গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। আমরা জানি এরইমধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা ঘোষণা করেছেন, ৩০ অক্টোবর থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। সেই হিসাবে ৯ মাস আগেই নির্বাচনের মাঠে নামলো আওয়ামী লীগ। শুধু ক্ষমতাসীন দলই নয়, সবগুলো দলই নির্বাচনকে সামনে রেখে নানা ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমন কি নেই নেই করে বিএনপিও বসে নেই। যদিও তারা ক্রমাগত বলে যাচ্ছে, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না। কিন্তু রাজনৈতিক মহলের দাবি, বিএনপি আর যাই করুক ২০১৪ সালের মতো ভুল করবে না। নানা কৌশলে সরকারকে চাপে রাখলেও ভেতরে ভেতরে তারা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েই ফেলেছে। যদিও খালেদা জিয়ার মামলার রায়ের ওপর বিএনপির অনেক সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে। তবে এসব কিছুর পর সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখার অপেক্ষায় আছে দেশের মানুষ। আমরাও চাই তেমন একটি নির্বাচন দেখতে। বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় দেড়শতাধিক সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় কয়েক কোটি ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। সেই নির্বাচনের পর আরো বহু মানুষ নতুন ভোটার হয়েছেন। যারা অপেক্ষায় আছেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার। আমাদের প্রত্যাশা: রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যেকার দ্বন্দ্ব-বিভেদ মিটিয়ে ভোটারদেরকে সুন্দর একটি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ করে দেবে।