টেস্ট ছেড়েছেন বেশ কয়েক বছর। ২০১৫ বিশ্বকাপের পর ওয়ানডে ক্রিকেটটাও ছেড়ে দেন শহীদ আফ্রিদি। এবার টি-২০ ক্রিকেটকে বিদায় বলতে চান এই ফরমেটে পাকিস্তান দলের অধিনায়ক। তবে পরিবার ও বন্ধু অনুরোধে এ ব্যাপারে ভেবে দেখবেন তিনি।
আগামী এপ্রিলে ভারতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া টি-২০ বিশ্বকাপের পর আর হয়তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেখা যাবে না ‘বুম বুম’কে। এমন সিদ্ধান্ত আফ্রিদিই নিয়েছিলেন। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট না ছাড়তে পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের দিক থেকে ‘প্রবল চাপ’ থাকায় বিশ্বকাপের পরে এই ব্যাপারে সিন্ধান্ত নেবেন আগামী মাসে ৩৬ বছরে পা রাখতে যাওয়া আফ্রিদি।
তিনি বলেন, ‘আমি বলছি না এখনই অবসর নিচ্ছি। চিন্তা-ভাবনা আছে। পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের দিক থেকে ‘প্রবল চাপ’ রয়েছে। তারা চান আমি যেন এখনই টি-২০ ক্রিকেটটা না ছাড়ি। তবে এখন আমার ভাবনায় বিশ্বকাপ ছাড়া আর কিছু নেই। এটা আমার জন্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং চ্যালেঞ্জের।’
আফ্রিদি বলেন, ‘বিশ্বকাপে আমার পারফর্মেন্স কেমন হয় দেখি। পাকিস্তানকে কতদূর নিতে পারি। এরপরই নিজের ব্যাপারে বিচার করবো। তবে খেলার মতো আমার ভালো ফিটনেস আছে।’
টি-২০ বিশ্বকাপের যে পাঁচটি আসর হয়েছে তার প্রতিটিতেই খেলেছেন আফ্রিদি। ২০০৯ সালে পাকিস্তানের টি-২০ বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়কও তিনিদি। সেই আসরের সেমিফাইনাল ও ফাইনালে টানা হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন বুম বুম।
এই ফরমেটে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা ও উইকেট পাওয়া খেলোয়াড় তিনিই। ৯০ ম্যাচে ৯১টি উইকেট পেয়েছেন আফ্রিদি। টি-২০তে সব মিলিয়ে ২০০ উইকেট পেয়েছেন এমন বোলারদের মধ্যে তৃতীয় সেরা ইকোনোমি রেট ৬ দশমিক ৬৬ তার।তার সামনে কেবল ওয়েস্ট ইন্ডিজের সুনীল নারিন ও স্বদেশী সাঈদ আজমল।
ব্যাটিং স্টাইক রেটে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন আফ্রিদি। ২ হাজরের রান করা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তার সামনে আরেক ক্যারিবীয় অলরাউন্টার আন্দ্রে রাসেল। আফ্রিদির স্টাইক রেট ১৫৪ দশমিক৬১।
ব্যক্তিগত পারফর্মেন্স ভালো থাকলেও এই ফরমেটের অধিনায়ক হিসেবে তার ফলাফল মিশ্র। ৩৫ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে জিতেছেন ১৬টিতে। বিপরীতে হার ১৯টিতে।
মঙ্গলবার শেষ হওয়া পিএসএলে পেশোয়ার জালমির অধিনায়কত্ব করেছেন আফ্রিদি। টুনামেন্টের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেয় তার দল। তবে এই আসরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক আফ্রিদি। সাত ম্যাচে ১০ উইকেট পেয়েছেন তিনি। ১৬ উইকেট নিয়ে শীর্ষে আন্দ্রে রাসেল। সাত ম্যাচে আফ্রিদির ব্যাটিং পারফর্মেন্স মোটেই উল্লেখ করার মতো নয়, সব মিলিয়ে মাত্র ৮৭ রান করতে পেরেছেন তিনি।