ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ভেনিজুয়েলার বিপক্ষে আরো কঠোর নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানিয়েছে। ফ্রান্সের অভিযোগ, তারা গণতন্ত্র ও মানবাধিকার ধ্বংস করছে। ম্যাক্রোঁ বলেন, অনেকটা সময় ব্যাপী কোনো গণতন্ত্র নেই ভেনিজুয়েলায়।
এর আগে গত সোমবার ভেনিজুয়েলার সাত সিনিয়র কর্মকর্তার সম্পদ দখল ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
ভেনিজুয়েলার রাজধানী কারাকাসের সুপ্রিম কোর্ট আগামী এপ্রিলে হতে যাওয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে মূল রাজনৈতিক বিরোধী দলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির ঘোষণার পরে এই মন্তব্য করেন ম্যাক্রোঁ।
সেখানকার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকারের কোনো উন্নয়নের সাক্ষর নেই জানিয়ে ম্যাক্রোঁ ভেনিজুয়েলায় আবার গণতন্ত্র পুনঃস্থাপনে যৌথ সহায়তার আহ্বান জানান।
ভেনিজুয়েলার সুপ্রিম কোর্টের দেয়া রায়ে ভেনিজুযেলার বিরোধী দলের প্রতি এই নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেছেন ফ্রান্সের এই প্রেসিডেন্ট। এই আচরণের ফলে সেখানকার বিরোধী দল প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য খুবই কম সময় পাবে। বিরোধী দলের বিভিন্ন নেতাকর্মীদের স্বেচ্ছা নির্বাসন ও জেলের ফলে তাদের প্রচারণা এমনিতেই দুর্বল হয়ে পড়েছে।
ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট মাদুরোর ছয় বছরের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছর। তার আগেই একটি পুনঃনির্বাচন করতে চাচ্ছেন মাদুরো ‘সাম্রাজ্যবাদের হুমকি নিঃশেষ করার’ পদক্ষেপ হিসেবে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ মনে করছেন, নিষেধাজ্ঞা জারি করা রাষ্ট্রগুলো একত্রে কাজ করলে নিশ্চয়ই কোনো ভালো ফলাফল বয়ে আসবে।